পুলিশি তলবকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। যদিও সেই আর্জি খারিজ করে আদালত স্পষ্ট জানায়, পুলিশ ডাকলে তাঁদের যেতে হবে।
থানার বাইরে দুই আন্দোলনকারী শিক্ষক
শেষ আপডেট: 22 May 2025 12:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত ১৫ মে বিকাশ ভবনের (Bikash Bhavan) সামনে অশান্তির ঘটনায় পুলিশি তলবে সাড়া দিয়ে বুধবার সন্ধেয় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে (Bidhannagar Police Station) গেছিলেন আন্দোলনকারী চাকরিহারা (Jobless Teachers) তিনজন শিক্ষক। বৃহস্পতিবার সকালেও তলব সাড়া দিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। এদিন সকাল ১০:২৫ নাগাদ বিধান নগর নর্থ থানায় হাজিরা দেন ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল, সুদীপ কোনার।
পুলিশি তলবকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিলেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। যদিও সেই আর্জি খারিজ করে আদালত স্পষ্ট জানায়, পুলিশ ডাকলে তাঁদের যেতে হবে। সেই প্রেক্ষিতেই থানায় হাজিরা দিয়ে আন্দোলনকারী চাকরিহারারা বলছেন, তাঁরা আইন মেনে চলতে চান, পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতাও করবেন। কারণ আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তাঁদের লক্ষ্য নয়। বরং আন্দোলন করে ন্যায্য চাকরি ফিরে পাওয়াই আসল উদ্দেশ্য।
বিকাশ ভবন অভিযানের ঘটনার দিন এই শিক্ষকরা সেখানে উপস্থিত থাকায় তাঁদের একাধিক ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে। সেই সূত্রেই বিধান নগর নর্থ থানায় তলবও করা হয়েছে। তলবে সাড়া দিয়েও আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি, আন্দোলন ভাঙার জন্য একাধিক ধারায় মামলা দেওয়া হলেও তাঁদের দমানো যাবে না। যতই মামলা দেওয়া হোক, চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের আন্দোলন ততদিন চলবে, যতদিন না দাবি পূরণ হয়। স্পষ্ট বার্তা তাঁদের।
গত ১৫ মে আন্দোলনের নামে তাঁরা বিকাশ ভবনের ভেতরে কর্মীদের আটকে রাখে এবং আটকে থাকা মানুষজনকে পুলিশ উদ্ধারে গেলে আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপরও আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে সুয়োমোটো মামলাও দায়ের করা হয়। তদন্তের জন্য আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল। এরপরই পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তবে তাঁদের সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য চাকরিহারাদের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে ১৫ মে-র ঘটনার জেরেই চাকরিহারাদের একাংশকে চিহ্নিত করে শো কজ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আন্দোলন চলাকালীন ওই চাকরিহারারা কী কী বেআইনি কাজে যুক্ত হয়েছিলেন, শো কজ চিঠিতে তা বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁদের থেকে জবাব তলব করেছে পর্ষদ। তাঁরা জানিয়েছে, ওই দিনের ঘটনার ছবি এবং ভিডিও থেকে অনেককেই চিহ্নিত করা গেছে। ভবনের গেট ভাঙা থেকে শুরু করে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, সরকারি কর্মীদের আটকে রাখার মতো অপরাধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভকারীরা কেন এমন কাজ করলেন, আর কী জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, তা জানাতে বলা হয়েছে শো-কজের চিঠিতে।