শেষ আপডেট: 19th October 2024 15:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে ৫ অক্টোবর থেকে অনশন শুরু হওয়ার পর অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ইতিমধ্যে অনিকেত মাহাতোকে ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতাল। শনিবার আরও দুজনকে ছাড়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তাঁরা হলেন অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় ও পুলস্ত্য আচার্য।
রক্তচাপের মাত্রা কম, শরীরে জলের অভাব সহ একাধিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন দুই জুনিয়র ডাক্তার। অনুষ্টুপ ভর্তি কলকাতা মেডিক্যালে এবং পুলস্ত্য নীলরতন সরকারে। দুজনেরই শারীরিক অবস্থা আগের থেকে ভাল বলে জানানো হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধের মধ্যে তাঁদের ছাড়া হতে পারে। যদিও কেউই নতুন করে অনশনে যোগ দিতে পারবেন না। সেই অবস্থা তাঁদের নেই। তাঁরা এখনও যথেষ্ট দুর্বল।
কলকাতার অনশন মঞ্চ থেকে এঁরা ছাড়াও অসুস্থ হয়েছিলেন তনয়া পাঁজা। তিনিও কলকাতা মেডিক্যালে ভর্তি। কিন্তু তাঁকে আপাতত ছাড়ার কোনও ভাবনা-চিন্তা নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। কারণ, তাঁর এখনও সঙ্কট কাটেনি। তনয়াকে আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখতে চাইছেন চিকিৎসকরা। এই মুহূর্তে তনয়ার পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব রয়েছে। শরীর মারাত্মক দুর্বল। তাই আরও কিছুদিন তাঁকে হাসপাতালে থাকতেই হবে।
কলকাতা ও শিলিগুড়ি মিলিয়ে মোট ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিন জন ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। আরজি করের অনিকেত মাহাতো ছাড়াও উত্তরবঙ্গেও অনশনমঞ্চে অসুস্থ দুই জুনিয়র ডাক্তার অলোক বর্মা এবং সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি ফিরেছেন হাসপাতাল থেকে।
ধর্মতলায় এই মুহূর্তে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন এসএসকেএমের নেফ্রোলজি বিভাগের পিডিটি প্রথম বর্ষের পড়ুয়া অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের প্যাথোলজি বিভাগের পিজিটি তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ক্যানসার বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার স্নিগ্ধা হাজরা।
এছাড়া ভিআইএমএস (শিশুমঙ্গল) হাসপাতালের ইএনটি (নাক, কান, গলা) বিভাগের পিজিটি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র পরিচয় পণ্ডা, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগে পিজিটি প্রথম বর্ষের ছাত্রী আলোলিকা ঘোড়ুই, অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথের পভার্টি মেডিসিনের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া রুমেলিকা কুমার, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের পিজিটি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র স্পন্দন চৌধুরী এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ইএনটি (নাক, কান, গলা সংক্রান্ত) বিভাগের পিজিটি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সন্দীপ মণ্ডল।