কসবার রাজডাঙার বহুতলে একই পরিবারের তিন সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় নড়ে উঠেছে দক্ষিণ কলকাতা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরজিৎ ভট্টাচার্য, তাঁর স্ত্রী গার্গী ও পুত্র আয়ুষ্মানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ফাইল চিত্র
শেষ আপডেট: 17 June 2025 17:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কসবার রাজডাঙার বহুতলে একই পরিবারের তিন সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় নড়ে উঠেছে দক্ষিণ কলকাতা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরজিৎ ভট্টাচার্য, তাঁর স্ত্রী গার্গী ও পুত্র আয়ুষ্মানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গেছে একটি সুইসাইড নোট, যেখানে লেখা রয়েছে—'তাঁরা স্বেচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।' যদিও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সরজিৎ ভট্টাচার্য পেশায় জমি ও বাড়ি কেনাবেচার দালাল ছিলেন। খুব একটা বাইরে দেখা যেত না তাঁকে। সকালে জল আনতে যেতেন ছেলে আয়ুষ্মানকে নিয়ে। আয়ুষ্মান পা টেনে হাঁটতেন বলে জানিয়েছে প্রতিবেশীরা। তাঁদের সামাজিক মেলামেশাও ছিল সীমিত।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজডাঙা গোল্ড পার্কের ৫০ নম্বর ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ। বিকেলের দিকে সন্দেহ হলে কসবা থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেখে, কোলাপসিবল গেট ভিতর থেকে তালাবদ্ধ, কাঠের দরজাও বন্ধ। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকেই হলঘরে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সরজিতের দেহ দেখতে পান পুলিশকর্মীরা। পাশের ঘরেই পাওয়া যায় গার্গী (৬৮) এবং আয়ুষ্মান (৩৮)-এর ঝুলন্ত দেহ।
তবে এখানেই শেষ নয়। গার্গী ও আয়ুষ্মানের দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন দেখা গিয়েছে, যা ঘিরে রহস্য আরও গভীর হচ্ছে। তিন জনেরই মৃত্যু হয়েছে এমন অবস্থায় যে, পুলিশের প্রাথমিক অনুমান—এটি আত্মহত্যার ঘটনা হতে পারে। কিন্তু কারও শারীরিক আঘাত কি অন্য কোনও কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে?
ডাক্তার এসে তিন জনকেই মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহগুলি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। পুলিশের দাবি, ফ্ল্যাটের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় আত্মহত্যার সম্ভাবনাই আপাতত জোরালো। তবু মা-ছেলের শরীরে কাটা দাগ নিয়ে সন্দেহে রয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রশ্ন উঠছে—তিন জন একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন, না কি দু’জনকে হত্যা করে কেউ নিজেই আত্মঘাতী হয়েছেন?