শেষ আপডেট: 15th August 2024 08:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শান্তিপূর্ণ একটা অরাজনৈতিক কর্মসূচি বদলে গেছে তাণ্ডবে। স্বাধীনতার মধ্যরাতে হামলা হয়েছে আরজি কর হাসপাতালে। দুষ্কৃতী তাণ্ডবে তছনছ হয়েছে জরুরি বিভাগ, নষ্ট হয়েছে লক্ষাধিক টাকার ওষুধ। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূলের দিকেই। তবে কারা এই হামলা করেছে তা নিয়ে পাল্টা বিস্ফোরক দাবি করল রাজ্যের শাসক দল।
তৃণমূল মুখপাত্র ঋজু দত্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, ''আপনারা জানতে চান আরজি করে কারা হামলা করেছে? তাহলে ভিডিওটি দেখুন। এই ঘটনার পিছনে রয়েছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই।'' এই সংগঠনকে তিনি 'সন্ত্রাসবাদী সংগঠন' বলেও আক্রমণ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, বাংলাকে বাংলাদেশ বানানোর জঘন্য চেস্ট করা হচ্ছে এইভাবে। কিন্তু আইনি পথে এর মোকাবিলা করতে হবে। অনেক হয়েছে, আর এসব বরদাস্ত করা হবে না, এমনটাই বলেছেন ঋজু।
You want to know, who destroyed RGKar, who are these Hooligans, what’s their affiliation?
— ???????????????? ???????????????????? (@DrRijuDutta_TMC) August 14, 2024
Watch this video????
A terrorist organisation called DYFI, a faction of @CPIM_WESTBENGAL , who has destroyed Bengal for 34 years, again back to their old tricks…
A dirty conspiracy has… pic.twitter.com/t8dPihamX0
প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই দাবি করেছেন, হামলাকারীরা হাসপাতালে ঢুকেই আগে জরুরি বিভাগে হামলা করে। টেবিল, চেয়ার থেকে শুরু করে যাবতীয় আসবাব ভেঙে দেওয়া হয়। হামলার পরে দেখা যায় সর্বত্র কাচের টুকরো পড়ে আছে। যদিও জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল ভাঙচুর হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। ওই ঘর থেকেই মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল গত শুক্রবার।
শুধু হাসপাতালের ভিতরে নয়, বাইরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। একাধিক পুলিশের গাড়িতে, হাসপাতালের বাইরের পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করা হয়। একাধিকজন পুলিশ কর্মীও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে খবর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। নামানো হয় ব়্যাফও। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের দাবি, পুলিশ নিজেদের বাঁচাতেই হাসপাতালের ভিতরে কোথাও কোথাও লুকিয়ে পড়ে।
জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের দাবি, আচমকাই লাঠি, রড, পাথর নিয়ে একদল আরজিকরের সামনে চলে আসে। এরপরই শুরু হয় মারধর, ভাঙচুর। জখম হন বেশ কয়েকজন। অভিযোগ, পুলিশ শুরুতেই পদক্ষেপ নিলে এ ঘটনা ঘটতো না।