শেষ আপডেট: 5th September 2024 07:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জুনিয়র ডাক্তারদের আহ্বানে প্রতিবাদে সামিল হতে বুধবার আরজি কর হাসপাতালে গেছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সেখানেই সাংবাদিকদের সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তাঁরা। নির্যাতিতার বাবা দাবি করেন, মেয়ের দেহ যখন বাড়িতে রয়েছে তখন তাঁকে পুলিশ টাকা দিতে চেয়েছিল! যদিও সে টাকা রাজ্য সরকারের তরফে কোনও ক্ষতিপূরণের টাকা কিনা সেটা স্পষ্ট করেননি। তবে তাঁর এই বক্তব্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে তৃণমূলের তরফে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, কিছুদিন আগেই 'নির্যাতিতার বাবা-মা' জানিয়েছিলেন পুলিশ কোনও টাকার কথা বলেননি।
তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য 'মা-বাবার বক্তব্য' লিখে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে তাঁদের কেউ বলছেন, ''একটা প্রচার হচ্ছে যে পুলিশ-প্রশাসন থেকে নাকি কোনও টাকা দিয়ে...'', সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি বলেন, ''কে বলল এই কথা? আমাদের এই সম্বন্ধে কিছু বলার দরকার কী আছে? এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি।'' তাঁকে এও বলতে শোনা যায়, ''মিথ্যে গল্প বানিয়ে একটা শ্রেণি থেকে এসব শুরু হয়েছে। আমরা বিচার চাইছি।'' শাসক শিবির দাবি করেছে, এই ভিডিওটি আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মার। তাঁরা কিছুদিন আগেই বলেছিলেন যে পুলিশ তাঁদের কোনও টাকার কথা বলেনি। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি দ্য ওয়াল।
বুধবার আরজি করে দাঁড়িয়ে নির্যাতিতার বাবার স্পষ্ট কথা ছিল, মেয়ের দেহ যখন দাহ করা হয়নি তখন বাড়িতেই ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তা তাঁকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন! কিন্তু তিনি সেই টাকা নেননি। যদিও এই টাকা রাজ্য সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণের টাকা কিনা তা স্পষ্ট করে বলেননি নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, ''মেয়ের মুখ দেখতে আমাদের সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। আমরা দেহ রেখে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ৩০০-৪০০ পুলিশ ঘিরে রেখেছিল। ফলে দেহ দাহ করতে বাধ্য হই। শ্মশানে দাহর টাকাও নেওয়া হয়নি। ''
পুলিশ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপরই যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগ, টালা থানায় তাঁদের পুলিশ ঘিরে রেখেছিল, বাড়ি ফিরে আসার পরও তাঁরা দেখেন ৩০০-৪০০ পুলিশ ঘিরে রেখেছেন। তারও আগে হাসপাতালে সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছে। ''দেহ সৎকারের কী তাড়া ছিল পুলিশের? কী লুকোনোর চেষ্টা করছে তাঁরা?'' এই প্রশ্নগুলির উত্তর চান নির্যাতিতার বাবা-মা।