শেষ আপডেট: 8th March 2025 13:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে এখন রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বাম ছাত্ররা তো আন্দোলনে নেমেছেই, বিজেপিও মিছিলের ডাক দিয়েছে। আগামী দিনে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা এখনই বলা মুশকিল। এই আবহে ফের একবার বাম ছাত্র সংগঠনের উদ্দেশে চরম বার্তা দিলেন যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ। কেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকছে না, তাও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
মদন মিত্র, অরূপ বিশ্বাস থেকে শুরু করে সৌগত রায়... তৃণমূলের একাধিক নেতা ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, অল্প সময়ের মধ্যেই যাদবপুরে শান্ত করতে পারে পুলিশ। অরূপ বিশ্বাস ১ মিনিটের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বলেছিলেন। মদন আরও এক ধাপ এগিয়ে দাবি করেছিলেন ৩০ সেকেন্ডে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে এটাও স্পষ্ট করেছিলেন শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের জন্য তাঁরা অপেক্ষা করছেন। যাদবপুরের সাংসদও প্রায় একই ইঙ্গিত দিলেন।
সায়নীর কথায়, ''মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দমন-নীতিতে বিশ্বাসী নন। তিনি অত্যন্ত সহনশীল। আর এর জন্যই যাদবপুরে পুলিশ ঢুকছে না। মুখ্যমন্ত্রী চাইলে পুলিশ অনেক কিছু করতে পারত।'' তৃণমূল সাংসদের এও দাবি, যাদবপুরে কার্যত গুন্ডামি চলছে। আর এইভাবে গুন্ডামি চলতে থাকলে যাদবপুরের নাম মাটিতে মিশতে খুব বেশি সময় লাগবে না। সায়নী মনে করান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৪ বছরের সিপিএম আমলের গুন্ডারাজ বন্ধ করে দেখিয়ে দিয়েছেন। যাদবপুরও শান্ত করতে পারতেন। কিন্তু সহনশীলতা দেখাচ্ছেন।
ঘটনার দিনই সন্ধেতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর হেনস্থার প্রতিবাদে মিছিল করেছিল তৃণমূল। তাতে সায়নী ছাড়াও যোগ দিয়েছিলেন অরূপ বিশ্বাস থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। সেই মিছিল থেকে বাম ছাত্র সংগঠনকে 'সাবধান' করেছিলেন অরূপ-সায়নীরা। তাঁদের দাবি ছিল, শান্ত যাদবপুরকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগুন নিয়ে যাতে না খেলে কেউ! অরূপ বলেছিলেন, মানুষ যাদের যাদবপুর ছাড়া করেছে, তারা গণতন্ত্রের ওপর হামলা করছে।
ওয়েবকুপার সভাকে কেন্দ্র করে হওয়া সেই ঘটনার এক সপ্তাহ কেটে গেছে। তবে পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। এদিকে শনিবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্তির ঘটনায় এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্যকে ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ। অশান্তির ঘটনায় তাঁর কাছে কী ছবি এবং ভিডিও ফুটেজ রয়েছে তা সঙ্গে নিয়ে সৃজনকে থানায় যেতে বলা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, যেহেতু সেদিনের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে তাই ওই ঘটনা সম্পর্কিত যার কাছে যা তথ্য রয়েছে তা চাওয়া হচ্ছে।