শেষ আপডেট: 12th March 2025 14:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে (Jogesh Chandra Chaudhuri College)। শেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কলেজে পুজো হয়। এবার দোলের আগে একই পরিস্থিতি তৈরি হল। আর কলেজের ভিতরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) বিক্ষোভের মুখে পড়লেন খোদ তৃণমূল সাংসদ।
যোগেশে ফের বহিরাগত প্রবেশের অভিযোগ তোলে পড়ুয়াদের একাংশ। বুধবার কলেজে পরিচালন সমিতির বৈঠক ছিল। গভর্নিং বডির বৈঠকে যোগ দিতেই কলেজে এসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায় (Mala Roy)। সেই সময়ই বহিরাগত প্রবেশের অভিযোগ তুলে প্রথমে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় টিএমসিপির-র একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, বহিরাগতরা এখনও কলেজের মধ্যে ঢুকছে। অবাধ যাতায়াত করছেন তাঁরা।
আগামী শুক্রবার দোল। কিন্তু যোগেশের ক্যাম্পাসে বুধবারই অনেক পড়ুয়া রং খেলায় মেতে ওঠেন। কার্যত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই পক্ষের মধ্যেই বিবাদ দেখা দেয়। জোর করে তাঁদের রং মাখানো হয়েছে, গায়ে জল দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন পড়ুয়াদের একাংশ। সেই নিয়েই কার্যত উত্তাল হয় পরিস্থিতি। এদিকে এও অভিযোগ ওঠে, মালা রায়ের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন একাধিক বহিরাগতও। তারা কলেজে কেন, সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
মূলত কলেজের ডে এবং আইন বিভাগের পড়ুয়াদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। আবির খেলাকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, বহিরাগতরা ফের কলেজে প্রবেশ করে জোর করে দোল খেলছে। যারা রং মাখতে চান না, তাদেরকেও রং দেওয়া হচ্ছে। যারা বহিরাগত তাদের বের করে দিতে হবে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই পুলিশ প্রবেশ করে ক্যাম্পাসে। দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে তাঁরা।
তৃণমূল সাংসদ মালা রায় অবশ্য বলেন, তিনি বৈঠক করতে কলেজে এসেছিলেন। তাঁর পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় কে বহিরাগত আর কে বহিরাগত নয়। বিষয়টি প্রশাসন দেখবে, কলেজ কর্তৃপক্ষ দেখবে। উত্তেজনা বাড়লে পুলিশি নিরাপত্তায় বেরিয়ে যান মালা রায়। তারপরই কার্যত রং খেলা শুরু হয় কলেজের ভিতর।