শেষ আপডেট: 20th February 2024 00:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুরসভার অধিবেশনে কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের জবাবদিহি চাইলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সোমবার পুরসভার অধিবেশনে বাজেট নিয়ে আলোচনার সময় অনন্যা এমন সব কথা বলেন যা কুরুচিকর বলেই অভিযোগ করা হয়েছে। তৃণমূল কাউন্সিলর অধিবেশনে যৌনগন্ধী গল্প বলেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে, এমনকী তাঁর মন্তব্য বিশেষ ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলেও অভিযোগ। অনন্যার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তৃণমূলের ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুস্মিতা ভট্টাচার্য। ঘটনার অভিঘাত বুঝে রাতেই অনন্যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান মেয়র।
তৃণমূল কংগ্রেসের ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনন্যা বন্দোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য নিয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুস্মিতা। তাঁর দাবি, বাজেট অধিবেশনের রেকর্ড থেকে অনন্যার বক্তব্য কেটে বাদ দেওয়া হোক। প্রসঙ্গত কলকাতা পুরসভার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অন্যান্য বন্দোপাধ্যায় একটি গল্প বলেন যা নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনন্যার বক্তব্য, “একদিন একজন ফাদার গাড়ি করে চার্চে যাচ্ছিলেন। পথে একজন নান তাঁর কাছে লিফট চান। গাড়িতে ফাদার নানের শরীর স্পর্শ করছিলেন। তখন নান বলেন, ‘আপনি আর্টিকল ১১২ পড়েননি?’ চার্চে এসে ফাদার বাইবেলের আর্টিকল ১১২ পড়ে দেখেন। অনন্যা যখন এখ গল্প বলছেন তখন আপত্তি জানিয়ে চিৎকার করে ওঠেন বিজেপির দুই কাউন্সিলর বিজয় ওঝা ও সজল ঘোষ। তাঁরা ওই বক্তব্য রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলেন।
কক্ষ থেকে বেরিয়ে সজল ঘোষ অভিযোগ করেন, যারা সংখ্যালঘুদের নিয়ে বড় বড় কথা বলে তারাই সংখ্যালঘুদের অপমান করছে। তিনি দাবি করেন, অনন্যা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে খারিজ করা উচিত। তিনি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করে তাঁদের অপমান করেছেন।
তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যার বক্তব্যের রেশ বহুদূর গড়ায়। সোমবার রাতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে পোস্ট করে মেয়র ফিরহাদ হাকিম লেখেন, “আজ পুরসভায় বাজেট বক্তৃতায় পুর প্রতিনিধি অনন্যা বন্দ্যেপাধ্যায়ের কিছু কথা সমাজের এক সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে। ওই মতের সঙ্গে দল একমত নয়। দলের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস পুর দলের পক্ষ থেকে এই বক্তব্যের জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে”। এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়ের বক্তব্য, ‘অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় আপত্তিজনক কিছু থাকলে সেটা বাদ দেওয়া হবে।’