দিলীপ ঘোষ (ছবি-গুগল)
শেষ আপডেট: 11 May 2025 10:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণার ৩ ঘণ্টা পরই লঙ্ঘন করেই শনিবার জম্মু-কাশ্মীরে হামলা চালায় পাকিস্তান। এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বললেন, 'পাকিস্তান কখনও কথা রাখেনি। কোনও চুক্তি রক্ষা করেনি।'
রবিবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করা নিয়ে পাকিস্তানকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "পাকিস্তান আজ পর্যন্ত কোনও চুক্তি রক্ষা করেনি। কোনও কথা রাখেনি। ওদের চরিত্র এটা। ভারতও যে সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা করে সেনা গুটিয়ে চলে এসেছে এমন নয়, যোগ্য উত্তর দেওয়া হবে।"
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে চিন। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'প্রথম থেকেই চিন পাকিস্তানের সঙ্গে রয়েছে। কথাও উঠছে যে, এই যুদ্ধের পিছনে চিনের মদত আছে।" এর পিছনে চিনের আর্থিক সুবিধার উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতা।
চিন পাকিস্তানকে সমর্থন জানাতেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে বালুচিস্তান। দিলীপ ঘোষ বললেন, "বালুচিস্তান পাকিস্তান থেকে আলাদা হতে চাইছে। তারা লড়াইও করছে। কিছুজন বলছেন, পাকিস্তান টুকরো হয়ে যাবে কারণ তাদের ভিতরেই অন্তর্ঘাত রয়েছে। পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ কী হবে তা দু-চার বছরের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।"
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। এই সময়ে সব বিরোধী দলগুলিই সরকারের পাশে আছে বলে দাবি দিলীপ ঘোষের। দেশের সমস্ত মানুষ সরকারের সিদ্ধান্তের পাশেই থাকবেন, মত দিলীপের।
শনিবার পাক হামলার জেরে সীমান্তে শহিদ হয়েছেন বিএসএফের (BSF) এক সাব-ইন্সপেক্টর মহম্মদ ইমতিয়াজ। এনিয়ে মেদিনীপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ বললেন, "পাকিস্তান সরাসরি যুদ্ধে ভারতের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারছে না, তাই সেখানে সাধারণ নাগরিক ও রক্ষাকর্মীদের আক্রমণ করছে।"
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলেই ভারত সরকার (Indian Government) ঘোষণা করেছিল যে, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির আর্জি জানিয়েছিল এবং তাঁরা তাতে সম্মত হয়েছে। এদিন বিকেল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি (India Pakistan Ceasefire) কার্যকর হয়েছে। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্ত লাগোয়া অন্তত ১১ জায়গায় গুলিবর্ষণ করে তারা। পাশাপাশি ড্রোন হামলারও চেষ্টা করা হয়।
ভারত সরকার জানিয়েছিল, শনিবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে পাকিস্তানের ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস’ (DGMO) ফোন করেন ভারতের ডিজিএমও-কে। এর পর দুই দেশের সম্মতিতে স্থির হয়, সন্ধ্যা ৫টা থেকে স্থল, জল ও আকাশপথে সমস্ত রকমের সামরিক অভিযান বন্ধ থাকবে। যুদ্ধবিরতির শর্ত কার্যকর করার জন্য দুই দেশই নিজের নিজের সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে। ১২ মে ফের দুই দেশের ডিজিএমও-দের মধ্যে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছিলেন বিদেশ সচিব। কিন্তু দেখা গেল, এই ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুরো চিত্র পাল্টে গেল উপত্যকার।