শেষ আপডেট: 10th August 2024 11:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অন ডিউটিতে কীভাবে নৃশংস মৃত্যু হল মেয়ের, শুক্রবারই প্রশ্ন তুলেছিলেন আরজিকর মেডিক্যালের মৃত ছাত্রীর মা। তদন্তে নেমে শুক্রবার গভীর রাতে খুন ও ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তারপরই আরজিকর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছেন নিহত ডাক্তারি ছাত্রীর মা।
শনিবার সকালে নিহত ছাত্রীর মা সংবাদমাধ্যমে বলেন, "আরজিকর হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তো উঠবেই। শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ফোন করে আমাকে বলা হয়েছিল, মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তদন্তের আগেই কীভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এতবড় কথা বলে দিলেন?"
মেয়ে হারানো মায়ের আরও প্রশ্ন, "তবে কি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও জানত, এটা খুনের ঘটনা? কাউকে আড়াল করতেই কি আত্মহত্যা বলে চালানো হয়েছিল।"
প্রসঙ্গত, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও প্রকাশ্যে না এলেও পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, মৃত ডাক্তারি ছাত্রীর যৌনাঙ্গ-সহ দেহের বিভিন্ন অংশে অন্তত ১০টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর কোনও প্রতিক্রিয়া এদিন নতুন করে জানা যায়নি। তবে আরজিকরের ছাত্রী খুনের ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম সঞ্জয় রায়। বহিরাগত হয়েও কীভাবে হাসপাতালে তার অবাধ যাতাযাত ছিল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের তরফে যে ১১ জনের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তার স্বচ্ছতা নিয়েই বড় প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে টুইটে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ওই ১১জনের কমিটিতে কয়েকজন ইন্টার্ন ডাক্তারও (যাঁরা রেজিস্টার্ড ডাক্তার নন) রয়েছেন। গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু।