Advertisement
Advertisement
শেষ আপডেট: 2 January 2024 16:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রযুক্তির অভিশাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন আদালতের হাজার হাজার ল ক্লার্ক। কাজ হারানোর আশঙ্কা বাড়ছে তাঁদের মধ্যে। এই ছবি খোদ কলকাতা হাইকোর্টে।
ডিজিট্যাল ইন্ডিয়াকে আরও গতিশীল করে তুলতে সবকিছুই অনলাইনে করার পরামর্শ দিচ্ছে সরকার। ব্যাঙ্কিং সিস্টেম থেকে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে, এমনকী কেনাকাটা, ক্রমেই কমছে কাগজের ব্যবহার। আদালতও নয়া প্রযুক্তির দিকে পা বাড়ানোয় রুটি রুজি হারানোর আশঙ্কা বাড়ছে ল ক্লার্কদের মধ্যে।
তাঁদের বক্তব্য, “আদালতও যেভাবে প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছে, তাতে আগামীদিনে আমাদের ক'জনের কাজ থাকবে, সেটাই ভাবিয়ে তুলছে।”
এই ল ক্লার্কদের কাজ কী?
প্রতিদিন কলকাতা হাইকোর্টে হাজার হাজার মানুষের মামলা দায়ের হচ্ছে। নিয়মিত সেগুলিকে তালিকাভুক্ত করার পেপার ওয়ার্ক করেন আইনজীবীদের ক্লার্করা। কার বিরুদ্ধে মামলা, কারা কারা থাকবে মামলায় সকলকে মামলার কপি পাঠানো সবটাই করেন আইনজীবীদের ক্লার্করা। তবে বর্তমানে এসবকিছুই অনেক দ্রুততার সঙ্গে অনলাইনে সবকিছু নথি মিলছে। ফলে ক্রমেই কমছে ল ক্লার্কদের চাহিদা।
কলকাতা হাইকোর্টের এক প্রবীণ ল ক্লার্কের কথায়, “আগে মামলা লড়ার আগে সেই সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র রেডি করে আইনজীবীর হাতে তুলে দিতে হত। এখন তো মোবাইলে সব পেয়ে যাচ্ছেন আইনজীবীরা। ফলে আমাদের কাজের পরিধি ক্রমেই কমছে। যে গতিতে প্রযুক্তি এগোচ্ছে তাতে আগামীদিনে সত্যি আমাদের কোনও কাজ থাকবে না।”
আগে আইনজীবীদের হাতে একটা মোটা বই থাকত। ওই বই থেকে মামলকারী থেকে আইনজীবীরা জানতে পারতেন কোন বিচারপতির এজলাসে কখন তাদের মামলা শুনানি আছে। এজন্য প্রতিদিন ও মাসিক তালিকা প্রকাশ করতেন ল ক্লার্করা। ১০ টাকার বিনিময়ে মামলাকারী থেকে আইনজীবী সকলেই ওই বই কিনতেন। এখন সবই অনলাইনে এক ক্লিকে সামনে চলে আসছে। ফলে ইতিমধ্যেই ওই বইয়ের প্রয়োজন ফুরিয়েছে। একইভাবে তাঁদের চাকরিও অবলুপ্তির পথে বলে আশঙ্কা করছেন কলকাতা হাইকোর্টের কয়েক হাজার ল ক্লার্ক।
Advertisement
Advertisement