শেষ আপডেট: 4th March 2025 20:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ট্যাংরা কাণ্ডের (Tangra Triple Death) জট ক্রমশ খুলছে বলেই মনে করছে পুলিশ। জেরায় ধৃত প্রসূন দে (Prasun Dey) যে দাবি করছেন তা আপাতত সত্যি বলেই মনে হচ্ছে তদন্তকারীদের। যদিও দুই ভাইকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার ভাবনাও রয়েছে তাঁদের। সূত্রের খবর, প্রসূন সম্প্রতি পুলিশকে (Police Custody) জানিয়েছেন, মেয়ে প্রিয়ম্বদাকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছিলেন তিনি নিজেই, তবে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন তাঁর স্ত্রী রোমি!
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রসূন জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী রোমি তাঁর মেয়ের পা চেপে ধরেছিলেন এবং তিনি তাঁর মুখে বালিশ চেপে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। তারপর একে একে রোমি এবং বৌদি সুদেষ্ণাকেও তিনি খুন করেছিলেন। এর আগে আহত নাবালকও শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে দাবি করেছিল যে, কাকাই খুন করেছে। তাঁকে মারতে এলে সে মরার ভান করে পড়েছিল। বড় ভাই প্রণয়ও আগে পুলিশকে জানিয়েছিলেন, হাত কাটার ভাবনা তাঁর ভাইয়েরই ছিল। তিনি নিজে ভয়ে কাটতে পারেননি। এখন ঘটনার জল যেদিকে গড়াচ্ছে তাতে মনে করা হচ্ছে, প্রসূনই এই কাণ্ডের মূল কাণ্ডারি।
সোমবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর প্রসূন দেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁকে শিয়ালদহ আদালতে পেশ করলে বিচারক তাঁর ২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিকে আদালতে প্রসূন জানিয়েছেন, তিনি কোনও আইনজীবী চান না।
প্রসূনকে হাজির করানো হলে বিচারক লক্ষ্য করেন তাঁর সঙ্গে কোনও আইনজীবী নেই। রাজ্যের আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, প্রসূন কোনও আইনজীবী রাখতে চান না। বিচারক নিজে তাঁর থেকে এই বিষয়ে জানতে চাইলে প্রসূন স্পষ্ট করে ঘাড় নাড়িয়ে বুঝিয়ে দেন, তিনি চান না তাঁর হয়ে কোনও আইনজীবী লড়ুন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে ইএম বাইপাসে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে দুর্ঘটনায় জখম হয় প্রণয়, প্রসূন ও প্রণয়ের ছেলে। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ এরপরই সামনে আসে অতুল শূর রোডে দে পরিবারের বাড়িতে দুই বধূ ও মেয়ের দেহ পড়ে রয়েছে। সেই ঘটনায় এখনও রাজ্যে শোরগোল।