শেষ আপডেট: 31st January 2025 15:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ট্যাংরার বহুতল ভাঙার কাজ বৃহস্পতিবার শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু কলকাতা পুরসভার কর্মীরা সেই কাজ করতে গেলে বাধার মুখে পড়েন। বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখিয়ে স্পষ্ট বলেছিলেন যে, বাড়ি তারা ভাঙতে দেবেন না। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হল না। অবশেষে বহুতল ভাঙার কাজ শুরু ট্যাংরায়।
বাড়ি ভাঙাকে কেন্দ্র করে অশান্তি হতে পারে এমন আঁচ পেয়েছিল কলকাতা পুরসভা। তাই বৃহস্পতিবার তাঁদের কর্মীদের সঙ্গে ট্যাংরা থানার পুলিশকেও ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আবাসিকদের বিক্ষোভের জেরে পুলিশও কিছু করতে পারেনি। তবে পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজক হয়ে উঠেছে যে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফ্ল্যাট মালিকরা। তাঁরা কিছুতেই আবাসন ছেড়ে যেতে চাননি। কিন্তু পুরসভা খতিয়ে দেখেছে যে বহুতল বিপজ্জনক, তাই তাকে ভেঙে ফেলতেই হবে। এই কারণে ভাঙার কাজ আগামী সোমবার শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকেই তা ভাঙতে তৎপর হয়েছিল তারা। তবে বাধার মুখে একদিন আরও পিছতে হল। অবশেষে শুক্রবার শুরু হল ভাঙার কাজ।
বাসিন্দাদের প্রথম থেকে অভিযোগ ছিল, বাড়ি ভাঙার বিষয়ে আলাদা করে পুরসভার তরফে তাঁদের কিছু জানানো হয়নি বা নোটিস দেওয়া হয়নি। সংবাদমাধ্যমে যা দেখাচ্ছে মূলত তা দেখেই তাঁরা খবর পেয়েছিলেন। কেন এই ব্যাপারটা তাঁদের জানানো হল না, কেন আচমকা বাড়ি ভাঙার কাজ আগে থেকে শুরু করা হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সকলেই।
বৃহস্পতিবার পুরসভার তরফে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের ক্রিস্টোফার রোড এলাকার সাদা বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করতে গেলে মূলত মহিলারাই আবাসনের গেট বন্ধ করে দেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, এই মুহূর্তে আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তাহলে তাঁরা কীভাবে বাড়ি ভাঙতে দেবেন! বিতর্কিত বাড়ির পাশের আবাসনের বাসিন্দারাও এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর অবশ্য জানিয়েছিলেন, বহুতল ভাঙা একমাত্র উপায় হলে তা ভেঙে এখানে বাংলার বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। তবে সেখানেও প্রশ্ন ওঠে, বাংলার বাড়ি করলে এত পরিবার থাকতে পারবে কিনা। সেক্ষেত্রে অবশ্য কোনও সমস্যা হবে বলে মনে করছেন না কাউন্সিলর।