শেষ আপডেট: 5th December 2024 16:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশে গণতন্ত্রের 'গণহত্যা'। দেশজুড়ে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা। প্রতিবাদে পথে নেমেছে সনাতনী সমাজ। হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সমাবেশে যোগ দিয়েছে ৫০টি সংগঠন। উপস্থিত হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সারা বিশ্ব ৷ আক্রান্ত হচ্ছেন হিন্দু-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ ৷ শুভেন্দুর কথায়, 'কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি আজকের সভার অনুমতি দিয়েছেন। তাঁকে আমি ধন্যবাদ জানাই। বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রবাদী সংগঠন বাংলাদেশে হিন্দু নিধন, মন্দির ভাঙা, হিন্দু মা বোনেদের ইজ্জত লুঠ করেছে। ফলাকাটা থেকে বেলডাঙা পশ্চিমবাংলায় হিন্দু ধর্মাচরণে আঘাত আর ব্যাঘাতের প্রতিবাদে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা সময়ে এই জমায়েত।'
এর পরই শুভেন্দু সরাসরি আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বললেন, ওপারের ইউনুস আর এপারের মমতা একই।
তাঁর কথায়, 'যারা ভারতবর্ষকে, সংবিধানকে আক্রমণ করেছে, তার জন্য কোনও পুলিশি বাধা আসেনি। হাইকোর্টে যেতে হয়নি। কলকাতা পুলিশের জলের গাড়ি , সরকারের বাঁশ, আপ্যায়নের কোনও ত্রুটি ছিল না সরকারের। জাহা ইউনুস তাহাই এপারের মমতা।'
শুভেন্দু আরও বলেন, '৩১ তারিখে জনাব ফিরহাদ হাকিম এখানে সভা করে অ্যামেন্ডমেন্ট বিলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন। তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেছিলেন, পাঁচ, পনেরো, পঁচিশ, পঞ্চাশ, যেখানেই নামাজ হবে সেটাই ওয়াকফের প্রপার্টি হবে। এর জন্য অনুমতি লাগেনি। পুলিশের পারমিশিন লাগেনি, হাইকোর্টে যেতে হয়নি। এর থেকেই বোঝা যায় যাহাই ইউনুস তাহাই মমতা।'
এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু মনে করিয়ে দেন, ভারত সরকার চুপ করে বসে নেই। ভারতের জন্যই বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। তাঁর কথায়, 'ভারতীয় সেনা বাংলাদেশের জন্য কী করেছিল মনে নেই? বিএনপি নেতা তাঁর স্ত্রীর শাড়ি পোড়াচ্ছেন। ভারতীয় পন্য বয়কটের কথা বলছেন। এখনও বাঙালি হিন্দুরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি। একুশে মমতা আমাকে হারাতে এসেছিলেন। তখন হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হতে বলেছিলাম। নন্দীগ্রামে ৬০ শতাংশ হিন্দুকে এক করে মমতাকে হারিয়েছিলাম।' বিরোধী দলনেতার আহ্বান, ওপারের মতো এপারেও হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে। সময় থাকতে সকল হিন্দু যেন এক হয়।