শেষ আপডেট: 19th August 2024 10:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই প্রতিবাদী সুখেন্দু শেখর রায়। বর্ষীয়ান এই তৃণমূল সাংসদ কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পক্ষে দাবি জানিয়ে এখন সংবাদ শিরোনামে। শুধু তাই নয়, আরজি কর ইস্যুতে পোস্ট করার পরই তাঁকে লালবাজারে তলব করা হয়েছে। যদিও তিনি যাননি। এবার আরও একটি ইস্যুতে পুলিশের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন তৃণমূল সাংসদ।
রবিবার কলকাতা ডার্বি ম্যাচ বাতিল হয়ে গেছিল। ডুরান্ড কমিটির তরফে জানানো হয়েছিল, পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা না থাকায় ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। যদিও ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকরা দাবি করেছেন আরজি কর কাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে জেনেই ম্যাচ বাতিল করা হয়। ম্যাচ না হলেও দুই দলের সমর্থকরা 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান তুলে রবিবার পথে নেমেছিল। তবে তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ, একাধিক সমর্থককে আটকও করা হয়েছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদেই সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি আরও একটি পোস্ট করেছেন। তাতে লিখেছেন, ''সমস্ত ফুটবল এবং ক্রীড়া সমর্থকের কাছে আবেদন, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক জমায়েতে পুলিশি নির্যাতন এবং গ্রেফতারির বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানাতে হবে। জয় মোহনবাগান, জয় ইস্টবেঙ্গল।'' যে ভাবে পুলিশ সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে লাঠিচার্জ করেছে এবং বেশ কয়েকজনকে আটক করেছিল, তারই প্রতিবাদ করেছেন সুখেন্দু।
আগেই মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়া ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়ে সিবিআইকে চিঠি দিয়েছেন সুখেন্দু। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আরজি কর ইস্যুতে লিখেছিলেন, ''"কারা আত্মহত্যার কথা রটিয়েছিল? কেন ৩দিন পরে ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ? কেন সেমিনার হলের দেওয়াল ভাঙা হল? এরকম শতাধিক প্রশ্ন আছে। সিপি, প্রাক্তন অধ্যক্ষকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করুক সিবিআই।'' সূত্রের খবর, তৃণমূল সাংসদের একাধিক বক্তব্য ভুল বলে দাবি করেছে পুলিশ। তিনি কেন এমন পোস্ট করেছেন, তা জানতেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। যদিও সেই তলবে সাড়া দেননি সাংসদ।
আরজি কর প্রসঙ্গে সুখেন্দুর এর আগে বক্তব্য ছিল, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় দেশের অনেক জায়গাতেই এমন পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে, ঘটেও। তা যাতে ভবিষ্যতে আর না হয় সেজন্য আরও কঠোর আইন আনা জরুরি। শনিবার এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও দেন তিনি। শীতকালীন অধিবেশনেই যাতে এই সংক্রান্ত বিল আনা হয়, সে আর্জিও করেছেন।