শেষ আপডেট: 13th September 2024 07:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালের নৃশংস ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকে সরব তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে তিনি যে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন তা হলফ করে বলা যায়। এক মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও এই ঘটনায় বাড়তি কোনও পদক্ষেপ হয়নি। কলকাতা পুলিশ যাকে গ্রেফতার করেছিল সেই সিভিক ভলেন্টিয়ার ছাড়া আর কাউকে গ্রেফতারই করতে পারেনি সিবিআই। সেই প্রেক্ষিতে আরও একবার মুখ খুললেন সুখেন্দু শেখর রায়। ন্যায়বিচারের জন্য কী করতে হবে তা বুঝিয়ে দিলেন।
কলকাতার আরজি কর কাণ্ড নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সমালোচনায় বেশি মুখর তৃণমূলের এই সাংসদ। রাত দখলের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা বলা থেকে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা, সবই করেছেন সুখেন্দু। এবার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি নির্যাতিতাকে উদ্দেশ করে কিছু কথা লিখেছেন। যা পড়ে সবারই মনে হবে আবার শাসক দলের অস্বস্তি বাড়ালেন তিনি।
সুখেন্দু নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ''আপনি বেঁচে আছেন ভারতের এবং বিদেশের কোটি কোটি ভারতীয়ের হৃদয়ে। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে আপনি যে প্রাথমিক তদন্ত বা ন্যায়বিচারের আশা করেছিলেন তা যে এখন হচ্ছে সেটা কেউ বিশ্বাস করে না। আমরা এখনও অসহায়। প্রমাণের সঙ্গে যারা কারচুপি করেছে সেই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।'' এর আগে মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়া ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়ে সিবিআইকে চিঠি দিয়েছেন সুখেন্দু। তাতে শোরগোল শুরু হয়েছিল।
এখানেই শেষ নয়। এমন ঘটনা যেন দেশের আর কোথাও ভবিষ্যতে না হয় সেজন্য আরও কঠোর আইন আনা জরুরি বলে দাবি তুলেছেন সুখেন্দু। এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও দেন তিনি। শীতকালীন অধিবেশনেই যাতে এই সংক্রান্ত বিল আনা হয়, সে আর্জিও করেন। আরজি কর ইস্যুতে তাঁর ক্রমাগত এমন পোস্ট যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আরও চাপে ফেলছে তা বলা যায়। সম্প্রতি আরজি কর কাণ্ডের জেরেই রাজ্যসভার পদ ছেড়েছেন তৃণমূলের জহর সরকার। সুখেন্দুও পদ ছাড়বেন কিনা, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
ঘটনা হল, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর সুখেন্দুশেখর রায়ের পৌরোহিত্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন জহর সরকার। এদিকে লোকসভা ভোটের আগে থেকেই সুখেন্দু শেখরের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য কোনও কথা হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বরং সম্প্রতি রাজ্যসভায় তৃণমূলের উপদলনেতার পদ থেকে সুখেন্দুকে সরিয়েছেন তিনি। তাই চর্চা তো হওয়ারই কথা।