শেষ আপডেট: 11th February 2025 17:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একাধিকবার আদালতে হাজিরা দিতে আসেননি। প্রতিবারই শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে এড়িয়েছিলেন। তবে শেষমেশ মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। তাই দীর্ঘ টালবাহানার পর তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারল সিবিআই।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ অনেক আগেই দিয়েছিল আদালত। কিন্তু অন্তত পাঁচবার হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তা এড়িয়ে গেছেন তিনি। তবে মঙ্গলবার সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নগর দায়রা আদালতে হাজিরা দেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তারপর আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেই হয় তাঁর ভয়েস স্যাম্পল টেস্ট। সূত্রের খবর, ৩০-৪০ মিনিটের নমুনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররাও।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টাকা লেনদেনের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ সরাসরি যুক্ত। টাকা লেনদেনের সময় তাঁর কণ্ঠস্বরও শোনা গেছে। সেই অডিও ক্লিপ হাতে পেয়েছে সিবিআই। সেই অডিয়ো স্যাম্পেলের সঙ্গে ‘কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর মিলিয়ে দেখতে চেয়েছে তাঁরা। কিন্তু অসুস্থ হওয়ার দাবি করে বারবার আদালতে হাজিরা এড়ানোয় সেই কাজ করতেই পারছিল না সিবিআই। মঙ্গলবার সেই 'অসাধ্য সাধন' হল।
গত ৬ জানুয়ারি ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ভার্চুয়ালি পেশ করা হয়েছিল কালীঘাটের কাকুকে। সেদিনই বিচারক স্পষ্ট জানান, এই মামলায় মোট ৫৪ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সে কারণেই প্রথম প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের চার নম্বর ধারায় 'কাকুর' বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। একই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ভয়েস স্যাম্পল দিতেই হবে। সেই নমুনা দেওয়ার পর আবার জেলেই পাঠানো হয়েছে তাঁকে।