শেষ আপডেট: 29th September 2024 12:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্তে আগেই নাম উঠে এসেছে তৃণমূল বিধায়ক তথা রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়ের। বড়সড় দুর্নীতির সঙ্গে তিনি জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছিল প্রথম থেকেই। এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবরেটরিতেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল শ্রীরামপুরের বিধায়কের বিরুদ্ধে।
মেডিক্যাল কলেজ স্টুডেন্টস ইউনিয়নের অভিযোগ, সুদীপ্ত রায়ের নির্দেশেই হাসপাতালে বেলাগাম দুর্নীতি হয়েছে। টাকার বিনিময়ে হাসপাতালের বেড বিক্রি থেকে শুরু করে একাধিক অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল বিধায়কের নামে। সুদীপ্ত একা নন, মেডিক্যাল কলেজের প্যাথলজিস্ট জয়ন্ত সেনও জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ। শনিবার স্মারকলিপি দিয়ে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষকে দুর্নীতির অভিযোগ পড়ুয়াদের সংগঠনের।
সংগঠনের অভিযোগ, শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে হাসপাতালের বেড বিক্রিই নয়, হাসপাতালের ল্যাবরেটরির কিটও দেদারে বাইরে বিক্রি করা হয়েছে। পুরো বিষয়টিই তৃণমূল বিধায়ক তথা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের নির্দেশেই হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হাসপাতালের বর্তমান প্যাথলজিস্ট জয়ন্ত।
মেডিক্যাল কলেজ স্টুডেন্টস ইউনিয়নের আরও অভিযোগ, হাসপাতালে দু’জনের প্রশ্রয়ে রীতিমতো ‘দালাল চক্র’ চলছে। মোটা টাকা খরচ করলে তবেই বেড পাচ্ছেন রোগীরা। বারবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানালেও লাভ হয়নি। সেকারণেই শনিবার সুদীপ্ত ও জয়ন্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে ছাত্রদের সংগঠন।
গত শুক্রবারই সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন আরজি কর হাসপাতালে দীর্ঘদিন জিনিসপত্র সরবরাহকারী এক সংস্থার প্রধান সুব্রত বসু। হাওড়ার ওই সংস্থার প্রধানের অভিযোগ, আরজি করের নাম করে সরকারি টাকায় কেনা চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে যেত তৃণমূল বিধায়ক তথা রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়ের সিঁথির নার্সিংহোমে।
প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে পরামর্শ করেই বিনা পয়সায় পুরনো চিকিৎসা সামগ্রী, যন্ত্রপাতি বিনা পয়সায় নিজের সিঁথির নার্সিংহোমে দিতেন তৃণমূল বিধায়ক, এমনটাই অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, আরজি করে সাফাইকর্মী সরবরাহকারী একটি সংস্থার দায়িত্বে থাকা বাপ্পা ভট্টাচার্যের আরও অভিযোগ, আরজি করে চিকিৎসা সামগ্রী নিজের নার্সিংহোমে দেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালের সাফাইকর্মীদের মধ্যেও তিনজনকে নাকি সুদীপ্ত রায়ের সিঁথির নার্সিংহোমে পাকাপাকিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে তৃণমূল বিধায়ক এদের বেতন দিতেন না। বেতন দিতে হত সাফাইকর্মী সরবরাহকারী সংস্থাকে, অর্থাৎ আরজি করের বাজেট থেকেই যেত সে টাকা।
শুক্রবারের পর ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে।