শেষ আপডেট: 18th September 2024 20:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ-খুন মামলাতেও গ্রেফতার হয়েছেন। দুই ক্ষেত্রেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এরপর তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা কেন হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অবশেষে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বাতিল হতে চলেছে সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন। এতএব এই সিদ্ধান্ত হলে আর ডাক্তারি করতে পারবেন না তিনি।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ আগেই সন্দীপ ঘোষের সদস্যপদ বাতিল করেছিল। তাঁকে সাসপেন্ডও করেছে তাঁরা। কিন্তু রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছিল না। সিবিআই গ্রেফতার করার আগে তাঁকে শুধু শো-কজ করা হয়েছিল। কিন্তু এতদিনেও তার কোনও উত্তর দেননি সন্দীপ ঘোষ। অবশেষে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল হওয়ার মুখে। বুধবারই বৈঠকে বসেছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হওয়ার অপেক্ষা।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল এই রেজিস্ট্রেশন বাতিলের প্রসঙ্গে একবার বলেছিল, কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী যতক্ষণ পর্যন্ত না কেউ দোষী সাব্যস্ত হচ্ছে ততক্ষণ তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা যায় না। যদিও তাঁদের এও বক্তব্য ছিল, অবাঞ্ছনীয় কোনও কাজে জড়িয়ে পড়লে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং কাউন্সিলের পরিচালন সমিতির বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বুধবার সেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
সন্দীপ ঘোষ ও টালার থানার ওসিকে আরজি করের মূল ঘটনায় তথ্য ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে স্ট্যাটাস রিপোর্টও পেশ করেছে তাঁরা। যা দেখে মঙ্গলবার শুনানির সময়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, সিবিআই যা জানিয়েছে তা বিচলিত করে দেওয়ার মতো।
সিবিআই আদালতে আরও জানিয়েছে, ঘটনার আগে পরে টালা থানার ওসির সঙ্গে আরজিকর হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বেশ কয়েকবার ফোনে কথা হয়। দুজনের যে কল রেকর্ডের ডিটেল পাওয়া গিয়েছে তাতে কিছু সন্দেহজনক ফোনকলও রয়েছে। তারা কারা তাও জানতে চাইবে সিবিআই।