দ্য ওয়াল ব্যুরো: যাঁরা 'অযোগ্য' বলে চিহ্নিত (SSC) তাঁদের এখনও কেন বেতন দেওয়া হচ্ছে! আদালতের নির্দেশ মোতাবেক এখনও কেন তাঁদের বেতন ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু হয়নি? রাজ্যকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের (Kolkata High Court) নির্দেশের পরও টাকা ফেরতের কোনও প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। ওএমআর-ও প্রকাশ করা হয়নি। অনেক 'অযোগ্য'রা এখনও স্কুলে গিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন। পোর্টাল থেকে নাম বাদ যায়নি তাঁদেরও মূলত এই বিষয়গুলি নিয়েই রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ও বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা ওঠে। তখনই রাজ্যের আইনজীবীর কাছে একগুচ্ছ প্রশ্ন রাখেন বিচারপতি। জনাতে চান, "নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত হওয়া 'অযোগ্য' বা 'অবৈধ'দের বেতন ফেরাতে কী পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য? 'অযোগ্য' চাকরিহারাদের মধ্যে দু'জন এখনও বেতন পাচ্ছেন বলে অভিযোগ। সেটাই বা কেন হবে?"

স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে ওএমআর শিটও আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ কী পালন হয়েছে? না হয়ে থাকলে সেটাও তো পালন করতে হবে। কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? কমিশনের কাছেও প্রশ্ন রেখেছে আদালত। 

অন্যদিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বিচারপতি বসাক প্রশ্ন করেন, নিয়োগের চারটি বিভাগেই পরবর্তী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেটা কোন পর্যায়ে আছে? উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া হবে। 

দীর্ঘ, সওয়াল-জবাবের পর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সুপ্রিম কোর্ট যা বলেছে সেটা রাজ্যকে মানতে হবে। দ্রুত বেতন ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। 

সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, যাঁরা 'টেন্টেড' অর্থাৎ 'অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত' তাঁদের বেতন ফেরত দিতে হবে। শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশের পর দু'সপ্তাহ কেটে গেছে। অথচ এখনও কেউ বেতন ফেরত দেননি বলে অভিযোগ।রাজ্য সরকারের তরফেও বেতন ফেরতের ক্ষেত্রে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এই মর্মেই রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে।