Advertisement
রাতভর অবস্থানে চাকরিহারারা
Advertisement
শেষ আপডেট: 22 April 2025 07:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করব, করছি করেও যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করেনি এসএসসি (SSC)। সোমবার মাঝ রাতে কমিশন একটি বিবৃতি দিয়ে বলে, ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে যে, এসএসসি সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ মেনে চলবে। এবং বিভাগের তরফে জানানো হচ্ছে, যে শিক্ষকেরা চাকরি করেছেন, তাঁদের বেতন বর্তমান ব্যবস্থা অনুসারে প্রদান করা হবে। তবে 'যোগ্য-অযোগ্য' তালিকার ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
গতকাল দুপুর থেকেই চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় ছিলেন চাকরিহারারা। এসএসসি জানিয়েছিল সন্ধে ৬টা নাগাদ তালিকা প্রকাশ করবে। কিন্তু আদতে তা হয়নি। যে কারণে ভবনের বাইরেই রাতভর অবস্থানে বসেছিলেন বিক্ষোভকারী চাকরিহারা শিক্ষকেরা। রাত পেরিয়ে সকাল হয়েছে, নিজেদের দাবিতে অনড় চাকরিহারারা।
বঞ্চিত 'যোগ্য'রা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে রেখেছেন যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করতেই হবে, নয়তো কাউকে আচার্য সদন থেকে বেরোতে দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার সকালেও এসএসসি ভবন 'ঘেরাও' করে রেখেছেন তাঁরা। কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার-সহ অন্য আধিকারিকেরা এখনও এসএসসি ভবনের ভিতরেই রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এক আন্দোলনকারীর কথায়, "আমরা কেউ শুয়ে থাকিনি। দু'চোখের পাতা এক করিনি। রাস্তায় বসে পাহারা দিচ্ছিলাম যাতে এসএসসি চেয়ারম্যান বেরিয়ে যেতে না পারেন।"
মঙ্গলবার এসএসসির সামনে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের ঐক্যমঞ্চ। তাঁদের তরফে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে আগামিকাল এসএসসির সামনে ধর্না অবস্থানে হাজির হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সোমবার রাতে চাকরিহারা শিক্ষকদের মঞ্চে হাজির হন আরজি কর আন্দোলনের জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরাও শিক্ষকদের এই আন্দোলনকে নৈতিকভাবে সমর্থন করছেন বলে জানান।
গত ৩ এপ্রিল এসএসসির ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। গত ১১ এপ্রিল বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) এবং এসএসসি (SSC) চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকের পর জানা গিয়েছিল, আইনি পরামর্শ নিয়ে দেড় সপ্তাহের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ্যে আনতে পারে এসএসসি। সেই হিসেব মোতাবেক ২১ এপ্রিল সোমবার পৃথক তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের। কিন্তু তা তো হয়ইনি, বরং এসএসসি-র তরফে থার্ড কাউন্সেলিং পর্যন্ত বৈধ বলার পরপরই নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়।
Advertisement
Advertisement