শেষ আপডেট: 12th August 2024 20:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। অভিযুক্তদের যতক্ষণ না কড়া শাস্তি হবে ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসক-পড়ুয়ারা। এই জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদে রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী, সব মহল সরব হয়েছে। এই ইস্যুতে কলম ধরেছেন শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর কথায় উঠে এসেছে নারীর রক্ত মাংসের শরীরের কথা, বুঝিয়েছেন যোনির মানে। কিন্তু তার এই পোস্ট নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। কারণ দাবি করা হচ্ছে, একই পোস্ট বারবার করেছেন শ্রীজাত।
তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় আমজনতার মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁরা আতঙ্কিত। শহর তথা রাজ্যের এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই ঘটনার নিন্দায় প্রতিবাদ হচ্ছে। আগামী দিনে সেই প্রতিবাদের ঝাঁজ যে আরও বাড়বে তা বলা যায়। এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় না নেমেও নিজের মতো করে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন শ্রীজাত। সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি কর ইস্যুতে যে লেখা তিনি লিখেছেন তা সমাজের কঙ্কালসার চেহারাটার ব্যাখ্যা দিয়ে দিচ্ছে। যদিও দেখা গেছে, এই একই ধরনের লেখা তিনি এর আগেও একাধিকবার পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শ্রীজাত যে পোস্ট করেছেন তাতে লিখেছেন, ''যোনি মানে তো চিরে রাখা রাস্তাই একটা, একটা সরু গলিপথ। কিন্তু সেটুকুতে মন উঠল না তোমার। তুমি সেই রাস্তায় কাটারি চালিয়ে আরও বড় রাস্তা বানালে... তোমার কৌতূহলী মন তাতেও শান্ত হল না। শেষমেশ ব্যাপারটা কী, বুঝে নিতে তুমি নিজেই ঢুকলে ভেতরে। মাথা, বুক, কোমর, হাঁটু, পা। এইভাবে পুরোটা ঢুকে গেলে।'' এটি মূলত ২০১৬ সালের লেখা, যেটি তিনি ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০-তেও রিপোস্ট করেছেন!
শুধু তাই নয়, তিনি একসময়ে এটাও লিখেছিলেন যে, অজস্রবার এই একই লেখা আউড়ে যাওয়াই তাঁর নিয়তি!
ইতিমধ্যেই আরজিকর কাণ্ডের বিরুদ্ধে ‘নাগরিক সমাজ' ধিক্কার পদযাত্রার ডাক দিয়েছে। ১৩ আগস্ট শ্যামবাজার নেতাজি মূর্তির সামনে থেকে তাঁদের পদযাত্রা শুরু হবে এবং তা শেষ হবে আরজিকরের সামনে। বিকেল ৪টে থেকে শুরু হওয়া এই পদযাত্রায় সামিল হতে পারেন অপর্ণা সেন, সোহিনী সেনগুপ্ত, মীরাতুন নাহার, কৌশিক সেনের মতো ব্যক্তিত্বরা।
আরজিকরের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ইতিমধ্যে মহিলা চিকিৎসক, ছাত্রী-সহ সার্বিকভাবে নারী সুরক্ষার জন্য ১৫ দফার নির্দেশিকা জারি করেছে লালবাজার। আরজিকর কাণ্ডে ধৃত মূল অভিযুক্তর কঠোরতম শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এমনকী এক্ষেত্রে অভিযুক্তর সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।