শেষ আপডেট: 29th September 2024 16:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লালবাজার অভিযানে জুনিয়র ডাক্তারদের শিরদাঁড়া নজর কেড়েছিল সকলের। সেই শিরদাঁড়াই জায়গা পায় প্রাণের উৎসবে। বেলেঘাটা গান্ধী মাঠ ফ্রেন্ডস সার্কল ঠিক করে পুজো মণ্ডপে প্রতীকি শিরদাঁড়ার রাখবে। সেই অনুযায়ী অর্ডার পান শিল্পীরা। কিন্তু কিছুদিন আগেই ম্যাজিকের মতো হাওয়া হয়ে যায় সেটি। কোথায় উধাও হয়, কেউ জানে না। পরে মিলল খোঁজ। জানা গেল, সেটিকে রাখা হবে না মণ্ডপে। আপাতত শিরদাঁড়ার জায়গা হয়েছে মণ্ডপের পিছনে।
তিলোত্তমার বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের একাংশ শিরদাঁড়া উপহার দিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের তৎকালীন সিপি বিনীত গোয়েলকে। সেই প্রতীকি শিরদাঁড়া শিরোনামে আসার পর জানা যায়, সমাজকে যেকোনও পরিস্থিতিতে শিরদাঁড়া সোজা রাখার পাঠ দেবে বেলেঘাটা গান্ধী মাঠ ফ্রেন্ডস সার্কল। তাঁরাও মানুষকে শিরদাঁড়ার গুরুত্ব বোঝাতে দুর্গাপুজোয় মণ্ডপে প্রতীকি শিরদাঁড়া রাখবে। অর্ডার যায় গিরিশপার্কের মৃৎশিল্পীদের কাছে।
কিন্তু হঠাৎই সোমবার সেখানে উপস্থিত হন পুলিশ কর্তারা। শোনা যায়, তারপর থেকেই উধাও হয় শিরদাঁড়া। এনিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিল প্রশাসন। কোনও কথা বলেনি ক্লাব কর্তৃপক্ষও। পরে রবিবার সকালে জানা গেল, শিরদাঁড়ার জায়গা হয়েছে ক্লাবের পিছনে। যেখানে কেউ তা সহজে দেখতে পাবে না।
ক্লাব কর্তৃপক্ষ আগে জানিয়েছিল, সমাজে সমস্ত স্তরে, সমস্ত কাজের ক্ষেত্রে শিরদাঁড়া সোজা রাখা প্রয়োজন। তাই এই প্রতীকি শিরদাঁড়া রাখা হবে মণ্ডপে। কিন্তু মাস ঘোরার আগেই, উলটপুরাণ। পাল্টে গেল বয়ান। ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, 'শিরদাঁড়া নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। পুজোর আনন্দে বিতর্ক নিস্প্রয়োজন। তাই এই সিদ্ধান্ত। প্রতিবাদ চলুক একদিকে, পুজো চলুক অন্যদিকে, নিজের মতো। তাই শিরদাঁড়া রেখে বিতর্ক না বাড়ানোই ভাল।'
কিছুদিন আগে যিনি বললেন, শিরদাঁড়া নিয়ে সমাজে বার্তা দেওয়া প্রয়োজন, তিনিই বয়ান বদলে ফেললন! এনিয়ে উঠছে প্রশ্ন। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল নেতাদের এমনকি শীর্ষ নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা নেয়েই এমন পদক্ষেপ করেছে বেলাঘাটার এই ক্লাব। উঠে এসেছে উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ ব্যানার্জির নামও।
তবে, বিষয়টি মানতে চাননি ক্লাবের সদস্য। তাঁর কথায়, তৃণমূলের কারও সঙ্গে কোনও কথা তাঁদের হয়নি। এই সিদ্ধান্ত তাঁদের ক্লাবের তরফেই নেওয়া।