শেষ আপডেট: 30th October 2024 08:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সুকিয়া স্ট্রিটে একটি কালীপুজোর উদ্বোধনে একই মঞ্চে দেখা গেল কুণাল ঘোষ ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জানা গিয়েছে, ওই পুজোর আয়োজক কুণাল ঘোষ। তাঁর সঙ্গে একই মঞ্চে এই জুটিকে দেখা যাওয়া মাত্রই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কি সত্যি খুব শীঘ্রই তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন শোভন-বৈশাখী? উত্তর অবশ্য অধরাই।
শোভন চট্টোপাধ্য়ায় তৃণমূলে থাকাকালীন বেশ ভাল সম্পর্ক ছিল কুণাল ঘোষের সঙ্গে। তারপর পাল্টে যায় গোটা বিষয়টাই। শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল ছাড়েন, যোগ দেন বিজেপিতে। সঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। তাঁদের এক আধবার কটাক্ষ করেন কুণাল। পরে অবশ্যই কিছুদিনের মধ্যেই শোভন-বৈশাখী গেরুয়া শিবির ছাড়েন। তবে তাঁরা অন্য কোনও দলেই আর যোগ দেননি।
বিজেপি ছাড়ার কিছুদিন পর থেকেই শোভনের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা শোনা যায়। দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক তাই প্রতি ভাইফোঁটাতে কালীঘাটের বাড়িতে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানন। সেই সময় থেকেই শোভনের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে কানাঘুঁষো শুরু হয়।
এই জল্পনায় চলতি বছরের শুরুতে কার্যত ঘি ঢালেন কুণাল ঘোষ। জানুয়ারি মাসে হঠাৎই পৌঁছে যান শোভন-বৈশাখীর বাড়িতে। বেশ কিছুটা সময় কাটান। কুণালকে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই বিষয়টিকে বিশ্লেষণ করেন। যদিও, এর পর থেকে শোভনের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে তুঙ্গে ওঠে জল্পনা।
মঙ্গলবার, সুকিয়া স্ট্রিটে কুণাল ঘোষের পুজোর উদ্বোধন হয় রাজ্যের প্রাক্তন মেয়রের হাত ধরে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে শোভনকে 'আমার দাদা' আর বৈশাখীকে 'ভাল বন্ধু, অধ্যাপিকা ও চিন্তাবিদ' বলে সম্বোধন করেন কুণাল। এদিন শোভন বলেন, 'আমি মা কালীর থেকে মনের জোর পাই প্রতিদিন।' এই কথা বলতে গিয়ে আর জি কর প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, 'বাংলায় এই ঘটনায় বাঞ্ছনীয় নয়। নাড়িয়ে দিয়েছে মানুষের মন। সকলে অপরাধীদের গ্রেফাতারির দাবি জানিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই জানিয়েছিলেন অপরাধীদের শাস্তি দেবেন। সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার কথাও তিনি বলেন।'
এদিন শোভন-বৈশাখী দু'জনকেই সবসময়ের মতো একই রঙের পোশাকে দেখা যায়। তাঁরা সুকিয়া স্ট্রিটে যেখানে পুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন, তার উল্টো দিকেই রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ফ্ল্যাট।