শেষ আপডেট: 4th January 2025 15:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে চরম বাকবিতণ্ডায় জড়ান রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রায় ১৫-২০ মিনিট দুজনেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন। এই ঘটনায় শনিবার মন্ত্রী ও সাংসদের বিরুদ্ধে ইমেল মারফত কলকাতা পুলিশ এবং হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করলেন সমাজকর্মী প্রতাপ বসু।
প্রতাপবাবুর দাবি, সাধারণ মানুষ এই ধরনের কাজ করলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পদক্ষেপ করত। কিন্তু প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় দু'জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আইনের চোখে সবাই সমান।' কলকাতা ও হাওড়া পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন প্রতাপ বসু। তিনি বলেন, 'পুলিশ উভয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব।'
শুক্রবার রাতে প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ওপর বচসা চলে দুই নেতার। জানা গেছে, দু'জনের গাড়িই কলকাতা থেকে হাওড়া যাচ্ছিল। বাবুলের দাবি, পিছন থেকে হর্ন বাজিয়ে প্রচণ্ড গতিতে একটি গাড়ি আসছিল। সেটি তাঁর গাড়িকে অতিক্রম করার চেষ্টা করে। তখন তিনি মুখ বাড়িয়ে ওই গাড়ির চালককে ধীরে চালানোর পরামর্শ দেন। এইভাবে চললে, গাড়িতে ঠেকে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে যাবে বলে সতর্ক করেন। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, ওই গাড়িতে বসা ব্যক্তি তাঁর কথার তোয়াক্কা না করেই গাড়ি চালিয়ে যেতে বলেন চালককে। তখনও বাবুল জানতেন না, কে বসে আছে পিছনের সিটে।
এরপর দ্বিতীয় গাড়িটি কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর সেটিকে থামান বাবুল। দাবি করেন, গাড়িতে আর কেউ নন, বসে আছেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সাংসদকে দেখতে পেয়ে গাড়ির পিছনের দিকে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন। আস্তে চালানোর কথা বলেন। কিন্তু অভিযোগ, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে গালাগাল দেন এবং বলেন, 'যা করেছেন বেশ করেছেন।' তখন কার্যত বচসা শুরু হলে আশপাশে স্থানীয় মানুষজনের ভিড় জমে যায়। প্রতাপবাবুর অভিযোগ ঘটনার জেরে যান চলাচল ব্যহত হয়। তবে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর এ নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি বাবুল বা অভিজিত।