শেষ আপডেট: 21st September 2024 17:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা গত ১১ দিন ধরে স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধর্না করেছেন। রাজ্য সরকার তাঁদের অধিকাংশ দাবি মেনে নেওয়ার পর শনিবার থেকেই সে ধর্না উঠেছে এবং তাঁরা আপাতত কাজেও যোগ দিয়েছেন। আর এই ধর্না উঠে যেতেই তাঁদের প্রতিবাদের সব চিহ্নও মুছে যাচ্ছে! রাস্তা থেকে দেওয়াল, সব জায়গায় পড়ছে নতুন রঙের প্রলেপ।
স্বাস্থ্যভবন চত্বরে যে রাস্তায় আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা ধর্নায় বসেছিলেন সেই সব এলাকার রাস্তায়, দেওয়াল নানা ছবি এঁকেছিলেন তাঁরা। লেখা হয়েছিল একাধিক স্লোগানও। কিন্তু শনিবার ধর্না ওঠার পর থেকেই তা মুছে দেওয়া শুরু হয়েছে। সমস্ত 'ওয়াল পেন্টিং' মুছে তার ওপর রঙ করা হচ্ছে। রাস্তায় যা যা লেখা ছিল তাও তুলে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকেই এই কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর। স্বাস্থ্যভবনের আশেপাশে যে সমস্ত বাড়ি আছে তার দেওয়ালে রং করা হচ্ছে।
কারা এই কাজ করাচ্ছে? এটা কি সরকারি নির্দেশে হচ্ছে না শাসক দলের নির্দেশ, তার কোনও উত্তর অবশ্য মেলেনি। যারা রঙ করছেন তাদের বক্তব্য, ঠিকাদার যা বলেছেন তাই তাঁরা করছেন। কাজ করলে টাকা মিলবে, তাই বাড়তি কোনও প্রশ্ন কেউই করেনি। বিভিন্ন জায়গায় নতুন রঙ হওয়ার ফলে একদিন আগে পর্যন্তও যে এই এলাকা প্রতিবাদ মুখর হয়ে ছিল রাত-দিন, ২৪ ঘণ্টা, তা বোঝার উপায় নেই এখন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনের রাস্তায় ধর্নায় বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ত্রিপল খাটিয়ে, চাদর পেতে সেই অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। সাধারণ মানুষের তরফে বিরাট সাহায্য পেয়েছেন তাঁরা। খাবার থেকে শুরু করে জল, প্রয়োজনীয় জিনিস সবই এসেছিল ডাক্তারদের কাছে। কেউ কেউ পাঠিয়েছিল ফ্যান, কারও উদ্যোগে আবার বায়ো টয়লেটও ছিল। জুনিয়র ডাক্তারদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার খেয়াল রেখেছিল আমজনতাই।
আরজি ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যেমন বৈঠক হয়েছিল, নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গেও তাঁরা বৈঠক করে। একাধিকবার দু-পক্ষ সহমত হতে পারেনি। জটিলতা আরও বেড়েছিল তবে অবশেষে সরকারের তরফে আশ্বাস পেয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে ধর্না তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান জুনিয়র ডাক্তাররা।