শেষ আপডেট: 6th March 2025 23:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur Univeristy) শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) ঘিরে যে ঘটনা ঘটেছিল, তার রেশ এখনও কাটেনি। ওই দিন হামলা হয়েছিল মন্ত্রীর গাড়িতে। তাতে আহত হন ব্রাত্য। আবার পড়ুয়াদের অভিযোগ, মন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছেন এক ছাত্র। শনিবারের ঘটনায় আহত পড়ুয়া ইন্দ্রানুজ রায় যাদবপুর থানায় একটি অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথমে সেই এফআইআর না নিলেও বৃহস্পতিবার তা গ্রহণ করা হয়। ততক্ষণে ব্রাত্যর পাড়ায় পাড়ায় ছেয়ে গিয়েছিল এসএফআই-এর (SFI) সাঁটানো একটি পোস্টার (Poster)।
বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে লেকটাউন, কালিন্দী বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু করে গোটা দমদম এলাকায় এঁটে দেওয়া সেই পোস্টারে লেখা হয়, "ওয়ান্টেড... যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজন ছাত্রের উপর গাড়ি চাপা দিয়ে পলাতক।" যার উপরে রয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর ছবি। শুধু তাই নয়, সেই পোস্টারে আরও লেখা হয়, যে "সন্ধান পেলে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে জানান।"
যাদবপুরের ঘটনায় বুধবারই পুলিশ এবং গোয়েন্দা দফতরকে তীব্র তীব্র ভর্ৎসনা করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আহত ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে কেন এফআইআর দায়ের করা হয়নি, সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন বিচারপতি।
বিচারপতির কথায়, 'আহত ছাত্র (ইন্দ্রানুজ রায়) বয়ান দেওয়ার পরও কেন রাজ্য এফআইআর দায়ের করল না?' ক্ষুূব্ধ বিচারপতি এও বলেন, 'যাদবপুরের ঘটনায় পুলিশ একপেশে তদন্ত করেছে। অথচ রাজ্যের উচিত ছিল অভিভাবকের মতো আচরণ করা'। আদালতের সেই হুঁশিয়ারির পরই এদিন পুলিশ এফআইআর গ্রহণ করল বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ওমপ্রকাশ মিশ্রর পাশাপাশি ব্রাত্যর গাড়ির চালক সহ আরও একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানি, হুমকি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।