শেষ আপডেট: 6th March 2025 07:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যাদবপুর কাণ্ড (Jadavpur University) নিয়ে এমনিতেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়িতে হামলা করার অভিযোগ উঠেছে বাম ছাত্র সংগঠনের (SFI) বিরুদ্ধে। এদিকে তাঁরই গাড়িতে 'চাপা পড়ে' আহত হয়েছে একাধিক পড়ুয়া, এমনও অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে এবার বাঘাযতীনে (Baghajatin) বাম-কর্মীদের শারীরিকভাবে হেনস্থার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পার্টি অফিস ভাঙচুরেরও অভিযোগ করা হয়েছে।
তৃণমূল কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নেতা শঙ্কর পালের নেতৃত্বে পার্টি অফিসে হামলা করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলেই নেতাজি নগর থানায় যায় বাঘাযতীন এলাকার বামপন্থী কর্মীরা। তাঁদের এও দাবি, শুধু পার্টি অফিসে হামলা নয়, শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে অনেককে।
বাঘাযতীন আই-ব্লকের সামনে সিপিএম, এসএফআই পথ অবরোধ করেছিল। বুধবার রাতে এই এলাকা দিয়েই স্থানীয় কাউন্সিলর তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি ফিরছিলেন। এছাড়া আরও অনেক গাড়ি রাস্তায় ছিল যা অবরোধের কারণে আটকে গেছিল। রাস্তায় নেমে মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় অবরোধ তুলতে এলে বাম কর্মীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান।
তৃণমূল কংগ্রেসের আরও কিছু মহিলা কর্মী মিতালির সঙ্গে ছিল। শাসক দলের দাবি, আলোচনা করতে এলে মিতালিসহ অন্যান্য মহিলাদের মারধর করা হয়। এদিকে বামেদের তরফে পাল্টা অভিযোগ, তাঁর নেতৃত্বেই তাঁদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হলে বুধবার রাতেই নেতাজি নগর থানায় যান বাম কর্মী-সমর্থকরা।
এদিকে তৃণমূলের দাবি, বাম কর্মীরা মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়কে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেছে এবং ধাক্কাধাক্কির ফলে তিনি আহত হয়েছেন। বর্তমানে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি কাউন্সিলর। তাঁর হাতে এবং মাথায় চোট লেগেছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি এও দাবি করা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ সিপিএমের পার্টি অফিস ভাঙচুর করেনি।
মিতালী বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলেন, অবরোধের জেরে লোকজন সমস্যায় পড়েছিল। গাড়ি থেকে নেমে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানাতে গেছিলেন তিনি। তারপরেই তাঁর উপর হামলা হয়। দলের আরও কয়েকজন মহিলা কর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন।