শেষ আপডেট: 7th October 2024 11:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত শনিবার থেকে ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তাররা আমরণ অনশন শুরু করেছেন আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে। সোমবার তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতীকী অনশনে বসলেন একাধিক সিনিয়র ডাক্তারও। প্রথম থেকেই এই আন্দোলনে জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থন করে এসেছেন সিনিয়ররা। জুনিয়রদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হলে তাঁরাও বড় সিদ্ধান্ত নেবেন, এমন হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল। এবার সরাসরি অনশন মঞ্চে যোগ দিলেন সিনিয়র চিকিৎসকদের কয়েকজন।
১০ দফা দাবিতে আন্দোলন চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের। দ্বিতীয়বারের কর্মবিরতি অল্প দিনের মধ্যে তুলে নিয়ে তাঁরা এখন অনশন শুরু করেছেন। তাঁদের সমর্থনেই সোমবার সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেছেন ১০ জন সিনিয়র ডাক্তার। তাঁদের দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের সব আর্জি ন্যায্য তাই সরকার পক্ষ দ্রুত তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসুক। জুনিয়র ডাক্তাররা যে দাবিগুলি করেছেন তা মেনে নিলে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হবে বলেই মত তাঁদের।
সোমবার প্রথম নয়। এর আগে রবিবার ব্যক্তিগত ভাবে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে শামিল হয়েছিলেন তিন জন সিনিয়র চিকিৎসক। এদিন আরও বেশি সংখ্যায় সিনিয়র ডাক্তাররা এই অনশন মঞ্চে সামিল হয়েছেন। শনিবার রাতে প্রাথমিক ভাবে ৬ জন সিনিয়র ডাক্তার আমরণ অনশনে বসেছিলেন। সেখানে আরজি করের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। পরে অবশ্য আরজি করের অনিকেত মাহাত অনশনে যোগ দেন। বর্তমানে সাত জন জুনিয়র ডাক্তার অনশন করছেন ধর্মতলায়।
আগে যে ৬ জন আমরণ অনশনে বসেছিলেন তাঁরা হলেন, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় ( কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ), অর্ণব মুখোপাধ্যায় (এসএসকেএম), তনয়া পাঁজা (কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ), সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা (কেপিসি), পুলস্ত্য আচার্য (এনআরএস) এবং স্নিগ্ধা হাজরা (কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ)। সেই তালিকায় যোগ হয়েছে অনিকেতের নাম।
অনশন করতে করতে কেউ অসুস্থ হলে দায় কার? এই প্রশ্নের উত্তরে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েই দিয়েছেন, যে দাবিগুলি করা হয়েছিল তা অত্যন্ত ন্যায্য এবং সেটা সরকার থেকে শুরু করে সকলেই জানেন। তাঁদের দাবি রাজ্য মেনে নিলে এই দিন আসে না। এখন তাঁরা দুটি শর্তেই এই অনশন তুলতে পারেন। এক, সব দাবি মানা হলে আর দুই, তাঁদের মৃত্যু হলে! তাই কারও কিছু হলে দায় একমাত্র সরকারের।