শেষ আপডেট: 16th September 2024 00:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে শিয়ালদহ কোর্টে। ধৃতদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট, ষড়যন্ত্র এবং সরকারি কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগ এনেছে সিবিআই।
কেন টালার ওসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই ব্যাখাও আদালতে দিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থা বলছে, ৯ অগস্ট মহিলা ডাক্তারের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরও অভিজিৎ মণ্ডল দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন। দ্বিতীয়ত, ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলতে দেরি করেন ওসি। তৃতীয়ত, অভিযোগ দায়েরের পরেও তখনই এফআইআর দায়ের করা হয়নি। তাতেও দেরি করেছেন ওসি। চার নম্বর কারণ, ঘটনাস্থলের প্রাথমিক ভিডিও করা হয়নি। পাঁচ, নির্যাতিতার পরিবার ফের ময়নাতদন্তের দাবি করেছিল। তা না মেনেই দ্রুত দেহ দাহ করা হয়েছিল। ছয়, ডেথ সার্টিফিকেট অর্থাৎ মৃত্যুর শংসাপত্র দিতেও দেরি করা হয়। এবং সাত, মৃত জেনেও অভিযোগ পত্রে 'অচৈতন্য' লেখা হয়েছিল।
ডাক্তারি ছাত্রীর মৃত্যুর পর হাসপাতালের তরফে পরিবারকে যেভাবে অসুস্থ, গুরুতর অসুস্থ এবং সবশেষে আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রথম থেকেই তদন্তকারীদের স্ক্যানারে ছিলেন সন্দীপ। এমনকী মা-বাবা আসার পরেও দেহ দেখতে না দিয়ে ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা, তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত, দেহ সৎকার নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশের ভূমিকাও।
এদিন আদালতেও সেই প্রসঙ্গ টেনে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে নয়, ঘটনার একজন ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিজিৎ মণ্ডলকে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৩৮ ধারায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট , ১৯৯ ধারায় সরকারি কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন না করা এবং ৬১/২ ধারায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে অভিজিৎ মণ্ডল, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।