জয়নগর কাণ্ডের সাজা ঘোষণা নিয়ে যা বলছেন জুনিয়র ডাক্তাররা
শেষ আপডেট: 6th December 2024 22:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জয়নগরে নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় মাত্র ৬২ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা হয়েছে। আসামিকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে আদালত। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ জানিয়েছে, এই রায় নজিরবিহীন। সে দাবিকে খারিজ করে দিতে পারছে না কোনও মহলই। কারণ নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের মতো ঘটনায় মাত্র ৬২ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা, আক্ষরিক অর্থেই বেনজির।
কিন্তু আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তভার ছিল এই পুলিশেরই হাতে। পাঁচ দিন পর অবশ্য সে ভার হস্তান্তর হয় সিবিআইয়ের কাছে। ততদিন পুলিশ কী করছিল? আজও প্রশ্ন তুলছেন আরজি কর ঘটনার আন্দোলনকারীরা।
জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার যেমন মনে করছেন, পুলিশের কাজই তদন্ত করা। এর জন্য আলাদা করে সম্বর্ধনা দিতে হবে এরকম কোনও ব্যাপার নেই। তিনি বলেন, 'আরজি কর আন্দোলনের জন্যই জয়নগরের ঘটনায় তৎপরতা দেখা গিয়েছে পুলিশের মধ্যে। না হলে দেখা যেত এই ঘটনা সামনেই আসত না। আরজি করের ঘটনার সঙ্গে জয়নগরের ঘটনা একেবারেই আলাদা। হাসপাতালের ঘটনা একটি প্রাতিষ্ঠানিক খুন ও ধর্ষণের ঘটনা।'
দেবাশিস আরও বলেন, 'আরজি করে আমাদের সহকর্মীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে সেখানেও অতি সক্রিয়তা দেখেছি। সেটা তদন্তের জন্য নয়, ১৪ অগস্ট রাতে যখন দুষ্কৃতী হামলা চালায় তখন পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। পুলিশের তৎপরতা দেখতে পেয়েছি যখন তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছিল। যখন টালা থানার ওসি গ্রেফতার হল।'
আরও এক আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার অনুষ্টুপ মজুমদার, যিনি অনশনকারীও বটে, তিনিও একই সুরে কথা বললেন। জানালেন, 'একটি ন্যক্কারজনক ঘটনায় দোষীর ফাঁসি ঘোষণা হয়েছে। সেটাকে কেন জয় হিসেবে দেখতে যাব? সুস্থ সমাজে এটাই তো স্বাভাবিক। আমরা আসলে এটা ধরে নিচ্ছি না তো যে বিচার পাই না বলেই এই পুলিশি তৎপরতাকে আলাদা করে সাধুবাদ জানাতে হবে!'
তাঁর কথায়, 'আমরা ছোট থেকে শুনে এসেছি যে পুলিশ চাইলে সব পারে। বলা যেতে পারে জয়নগরের ঘটনায় পুলিশের এই তদন্ত তেমনই একটা নিদর্শন। আরজি করের ঘটনায় তো তৎকালীন পুলিশ কমিশনার স্বীকার করেই নিয়েছিলেন যে তিনি ব্যর্থ। পাঁচ দিন পুলিশের হাতে যখন তদন্তভার ছিল তখন একবারও সন্দীপ ঘোষকে তলব করা হয়নি। এর থেকেই বোঝা যায় তাদের তৎপরতা কতটা।'