শেষ আপডেট: 9th January 2025 10:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডের বিচারপর্ব প্রায় শেষের পথে। অনেকের অনুমান, চলতি মাসেই রায়দান হয়ে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে শিয়ালদহ আদালতে। মনে করা হচ্ছে, আবারও মূল এবং একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চাইতে পারে সিবিআই। আর আদালত এদিনই রায়দানের তারিখও ঘোষণা করতে পারে।
পুলিশ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল। পরে তদন্তভার হাতে নিয়ে আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারকেই একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই-ও। যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে তা যে একজনের পক্ষে করা সম্ভব যে দাবি ইতিমধ্যে বিশেষ রিপোর্টে করা হয়েছে। এদিকে প্রাথমিক তদন্তে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে সঞ্জয় রায়কে সেমিনার হলের বাইরে দেখা গেছিল। তার হেডফোনও পাওয়া গেছিল ঘটনাস্থল থেকে। সেই সূত্র ধরেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করতে উদ্যত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী আবার তাঁর মক্কেলের শুধু জামিন চান না, তাকে বেকসুর খালাস করা হোক, এই আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর যুক্তি, ধৃত যদি ঘটনায় জড়িত থাকত তাহলে নির্যাতিতার শরীরে ধস্তাধস্তির চিহ্ন থাকা উচিত। জামা ছিঁড়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। পাশাপাশি অভিযুক্তর আঙুলের ছাপও পাওয়া যায়নি। এই পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁর দাবি, সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
এর আগে সঞ্জয় সংবাদমাধ্যমের সামনেও মুখ খুলে প্রায় একই দাবি করেছিল। সরাসরি নিশানা করেছিল পুলিশকেও। তারপর আদালতে আনার সময়ে তার পুলিশি নিরাপত্তাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আর বর্তমানে সঞ্জয়ের আইনজীবীর বক্তব্য, তরুণী চিকিৎসকের দেহে ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আর সিবিআই যে প্রমাণ দিচ্ছে, তা পর্যাপ্ত নয়। তাঁর মক্কেলকে একটি 'সাজানো ঘটনায়' ফাঁসানো হচ্ছে বলেই দাবি তাঁর।
সিবিআই তদন্ত অবশ্য একেবারেই খুশি নন নির্যাতিতার পরিবার। তাঁদের দাবি, ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে, তবে তাদের আড়াল করা হচ্ছে। সিবিআই-এর তদন্তে খামতি রয়েছে বলে কার্যত অভিযোগ তাঁদের। এই অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা, সুপ্রিম কোর্টেও যাওয়ার কথা ভেবেছেন। সেই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে শিয়ালদহ আদালত বৃহস্পতিবার কী নির্দেশ দেয় সেদিকে তাকিয়ে সকলে।