শেষ আপডেট: 10th January 2025 19:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তৃণমূল দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে দুই নেতাকে। তাঁরা হলেন আরাবুল ইসলাম এবং ডঃ শান্তনু সেন। শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির একটি বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু কী কারণে তাঁকে সাসপেন্ড করা হল তা বুঝতেই পারছেন না শান্তনু! এই খবরে তিনি কার্যত হতভম্ব হয়ে গেছেন।
দলবিরোধী কাজের জন্য দুই নেতাকে সাসপেন্ড করেছে দল। কিন্তু শান্তনুর কথায়, তিনি বুঝতেই পারছেন না যে কোন কাজটা তিনি দলের বিরুদ্ধে গিয়ে করেছেন। এক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে সাসপেন্ডেড নেতা বলেন, ''বুঝতেই পারছি না দল বিরোধী কাজ কী করলাম। কেউ বুঝিয়ে দিলে ভাল হয়। আজ সকাল পর্যন্তও দলের হয়ে কথা বলেছি। ঘুমনো আর পেশাগত কাজ ছাড়া বাকি সময়ে আমি দলের কাজই করি। তাই কোন দল বিরোধী কাজ করেছি সেটা কেউ দেখিয়ে দিলে ক্ষমা চাইতে এক মুহূর্ত দ্বিধাবোধ করব না।'' তবে সাসপেন্ড হওয়ার বিষয়টি তিনি দলের তরফে জানেননি বলে দাবি করেছেন শান্তনু। বলেন, সংবাদমাধ্যম থেকেই জানতে পারেন এটি।
আরজি কর কাণ্ডের পর মুখ খুলেছিলেন শান্তনু সেন। সরাসরি নিশানা করেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। সেই সময়ে একটি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্র নিয়ে নানা মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এরপরই তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ক'দিন আগে আবার সিজিও কমপ্লেক্স অভিযোন করে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ। তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ডঃ শান্তনু সেন। এখন তাঁর সাসপেন্ড হওয়ার পিছনেও কি এই বিষয়টি রয়েছে?
শান্তনু মনে করেন, কোনও আন্দোলনকে একজন ব্যক্তি মদত দিয়ে করাতে পারে না। তাই আন্দোলনকে উস্কানি দেওয়ার কোনও অভিযোগ উঠলে তা ভুল। আর তিনি এও জানান, সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতি নিয়ে তিনি আগেই সরব হয়েছিলেন। তবে খবরটা হয়তো সঠিক জায়গায় পৌঁছয়নি।
তাহলে এখন কি দলবদল করবেন শান্তনু সেন? সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্টত তিনি বলেন, ''আমার একটা নীতিবোধ রয়েছে। জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল করে এসেছি। এখনও মনে করি আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত সৈনিক। আগেও অন্য অনেক নেতাদের মতো নানা দল ঘুরিনি, এখনও ঘুরব না।''
যদিও কিছুটা আক্ষেপের সুরে শান্তনু সেন এও উল্লেখ করেন, অন্য অনেকের মতো তাঁর নাম কোনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়ায়নি। ইডি, সিবিআই-ও তাঁর পিছনে নেই। তাও তাঁকে সাসপেন্ড করা হল। তবে বিষয়টি নিয়ে তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে যাবেন কিনা সে ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট করেননি। শান্তনু শুধু বলছেন, যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারাই বলতে পারবেন এর কারণ।