শেষ আপডেট: 3rd September 2024 08:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে বুক দিয়ে আগলে রাখার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন। একইসঙ্গে দাবি করেছিলেন সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। অবশেষে সেটাই হল। সোমবার সন্ধেয় সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করল সিবিআই। অভিযোগ, তিনি সদন্তে সহযোগিতা করছেন না, সে কারণে হেফাজতে নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হতে চলেছে। এবার ফের মুখ খুললেন শান্তনু সেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ,'ঈশ্বর বিচার করলেন। প্রমাণ হল আমি ভুল বলিনি। সঠিক জায়গায় দুর্নীতির তথ্যগুলো অনেক আগেই জানিয়েছিলাম।'
৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের ঘটনায় লাগাতার আন্দোলনে প্রবল চাপের মুখে ১২ অগস্ট সকালে আরজি কর থেকে ইস্তফা দেন সন্দীপ ঘোষ। যদিও, এর কয়েকঘণ্টার মধ্য়েই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করা হয়। কিন্তু আন্দোলনের মুখে যোগ দিতে পারেননি সন্দীপ ঘোষ।
এর পরে ১৩ তারিখ আরজি কর মামলা আদালতে উঠলে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ হুঁশিয়ারি দেয়, সন্দীপ ঘোষকে লম্বা ছুটিতে না পাঠালে ব্যবস্থা নেবে আদালত। অন্যদিকে, সেদিনই আরজি করে খুন-ধর্ষণ মামলায় তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। একটানা ১৬ দিন সন্দীপ ঘোষকে জেরা করে তারা। তার পরে গতকাল গ্রেফতার করা হয় সন্দীপকে।
তবে শান্তনু সেন প্রথম থেকেই বেসুরো। এর আগেই তিনি সন্দীপ ঘোষ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, "আরজিকরে এর আগেও অনেকেই অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে যত অভিযোগ উঠেছে, তা আর কাউকে নিয়ে ওঠেনি। এ রাজ্যের মহিলাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক করছেন। আমি একজন অনুগত সৈনিক হিসেবে তাঁর পাশে থাকব। কিন্তু এটা বলতেই হচ্ছে ওঁর কাছে আরজি করে কী হচ্ছে তার সমস্ত খবর পৌঁছয় না।"
তিনি আরও বলেন, "ভারতবর্ষের একমাত্র অধ্যক্ষ, যাঁকে নিয়ে এত ঝড় তাঁকে কেন বুক দিয়ে আটকে রাখার চেষ্টা করব? তাঁর জন্য যখন এত কিছু হচ্ছে, তখন তাঁকে কেন আটকাব? আগেও তদন্তের স্বার্থে সিবিআই অনেককেই ডেকে পাঠিয়েছে। হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন আরজিকরের তদন্ত দ্রুত শেষ হোক। আমরা চাইছি তদন্ত দ্রুত শেষ হোক, জনগণও চাইছে তদন্ত তরান্বিত হোক। আমি সিবিআইকে অনুরোধ করব, তদন্তের প্রয়োজনে সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক তারা।"
এর পরেই তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শান্তনু সেনকে। এবার সন্দীপ গ্রেফতার হওয়ার পরে ফের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দিলেন শান্তনু সেন।
একা শান্তনু নন, আরজি করের ঘটনায় শাসকদলের অন্দরে বেসুরো হয়েছেন আরও এক সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ও। সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পরে সোমবার রাত ৯টা নাগাদ এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোস্ট করে সুখেন্দুশেখর লিখেছেন, মিডল স্টাম্প উপড়ে গেল, এর পর কী?
সুখেন্দুবাবু তাঁর পোস্টে সন্দীপ ঘোষের নাম লেখেননি। কিন্তু আরজি করের ঘটনায় নিয়ে তিনি যতটা প্রতিবাদী এবং তাঁর সোশাল পোস্টের সময় নির্বাচন দেখে অনেকেই দুয়ে দুয়ে চার করছেন। তাঁদের মতে, এটা স্পষ্ট যে সন্দীপ গ্রেফতার হতেই এই পোস্ট করেছেন তৃণমূল সাংসদ।
ক্রিকেট তিনটি উইকেট থাকে। সুখেন্দু বোঝাতে চেয়েছেন মিডল স্টাম্প উড়ে গেছে। তবে বাকি দুটো স্টাম্প কাদের বোঝাচ্ছে তা লেখেননি তিনি।