শেষ আপডেট: 3rd September 2024 17:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া আরও তিনজনের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে, সিবিআই আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে সন্দীপ ঘোষকে দেখে ওঠে 'চোর-চোর' স্লোগান।
১৬ দিন ধরে জেরা করার পর অবশেষে সোমবার সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতর করেছে সিবিআই। তাঁর সঙ্গে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই তিনজন হলেন বিপ্লব সিনহা, আফসার আলি এবং সুমন হাজরা। সিবিআই তাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজতের আর্জি জানিয়েছিল। তবে বিচারক সকলকেই ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে নিজাম প্যালেস থেকে আলিপুরের বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে সন্দীপ ঘোষের গাড়ি ঘিরে 'চোর-চোর' স্লোগান ওঠে। শুধু তাই নয়, আদালত চত্বরেও তাঁকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দেওয়া হয়। গাড়ি ঘিরে হইচই শুরু হয়েছিল। তবে সিবিআই আধিকারিকরা নির্দিষ্ট সময়ই সন্দীপ ঘোষকে আদালতে হাজির করান। ১০ দিনে হেফাজত চেয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার যুক্তি ছিল, তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের জন্য তাঁকে জেরা করা প্রয়োজন। কারণ তাঁরা মনে করছেন এই আর্থিক দুর্নীতির পিছনে একটা বড় চক্র আছে।
আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি সন্দীপের বিরুদ্ধে চিকিৎসার জৈব বর্জ্য দুর্নীতি, সরকারি টাকা নয়ছয়, নির্মাণের জন্য আইন ভেঙে ঠিকাদার নিয়োগ-সহ একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন। সেই সূত্রে আরজি কর হাসপাতালের মর্গ থেকে শুরু করে অধ্যক্ষের দফতরে পৌঁছেছিল সিবিআই। একাধিকবার হাসপাতালে এসে অনুসন্ধান চালায় তাঁরা। তারপরই সোমবার একসঙ্গে চারজন গ্রেফতার হন।
ধৃতদের মধ্যে বিপ্লবের সংস্থা নানা হাসপাতালে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ করত। আগেই তাঁর বাড়ি এবং সংস্থার অফিসে হানা দিয়েছিল সিবিআই। অন্যদিকে সুমন হাজরার ওষুধের দোকানেও তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। আর আফসর সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।