শেষ আপডেট: 2nd September 2024 21:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডে এবার গ্রেফতার হয়ে গেলেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করল সিবিআই।
মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় তো বটেই, হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির ইস্যুতেও সন্দীপ ঘোষ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। তাঁর পলিগ্রাফ টেস্টও হয়েছে। কিন্তু ১৬ দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পরও তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছিল না, সে প্রশ্ন উঠেছিল। অবশেষে সোমবার গ্রেফতার হলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁকে স্বাস্থ্যভবন সাসপেন্ড করেনি। এই নিয়ে আলাদা করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
৯ অগস্ট হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ মিলতেই সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের দাবিতে সরব হন হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপরেই রাতারাতি সন্দীপকে সরিয়ে দেওয়া ন্যাশনাল মেডিক্যালে। কিন্তু সেখানেও প্রতিবাদের ঢেউ ওঠে। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্ট সন্দীপ ঘোষকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠায়। তারপর এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পর লাগাতার ডেকে পাঠানো হচ্ছিল। সোমবারও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন সন্দীপ। তবে সন্ধের পর তাঁকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যায় সিবিআই। সঙ্গে ছিলেন একাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। তখনই সন্দেহ করা হচ্ছিল যে তিনি গ্রেফতার হতে পারেন। অবশেষে সেটাই হল।
আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি সন্দীপের বিরুদ্ধে চিকিৎসার জৈব বর্জ্য দুর্নীতি, সরকারি টাকা নয়ছয়, নির্মাণের জন্য আইন ভেঙে ঠিকাদার নিয়োগ-সহ একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন। ইতিমধ্যে সিবিআই একাধিকবার আরজি করে দল পাঠিয়েছে। তাঁরা সেমিনার রুম থেকে শুরু করে মর্গ সহ অধ্যক্ষের দফতরও ভিজিট করে। সন্দীপ ঘোষকে জেরা করার পাশাপাশি তাঁর বাড়িতে গিয়েও তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। মূলত হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করা হয়েছিল। তবে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনাতেও যে তাঁর কোনও না কোনও ভূমিকা আছে তা সন্দেহ করা হয়েছে প্রথম থেকেই।