সন্দীপ ঘোষ
শেষ আপডেট: 6 February 2025 11:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে লাভ না পেয়ে প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু তাঁর মামলার শুনানি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চেই পাঠান তিনি। এরপর ফের সন্দীপ ঘোষের আবেদন খারিজ হয়। আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। বৃহস্পতিবারই এই মামলার শুনানি।
আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নিম্ন আদালতকে দ্রুত শুনানির নির্দেশ দিয়েছিলেন। সন্দীপ ঘোষ তাঁর বেঞ্চেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হলেও তাঁর নির্দেশ ছিল, বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসেই সেই মামলার শুনানি হবে। শেষমেশ নিজের আগের নির্দেশই বহাল রাখেন বিচারপতি ঘোষ। এবার সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশকে ফের চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন সন্দীপ ঘোষ সহ বাকিরা। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।
প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়ে সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী সাত দিন সময় দিতে হবে ডিসচার্জ পিটিশনের জন্য। তাঁদের প্রায় কুড়ি হাজার পাতার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে যা পড়ার সময় দেওয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে একক বেঞ্চ কী করে বলতে পারে এক সপ্তাহের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে, এই প্রশ্ন ছিল তাঁর। সন্দীপ ঘোষ এও বলেন, 'ফেয়ার ট্রায়াল সবার অধিকার। চার্জশিট পেশ ও অনুমোদনের মধ্যে আমাদের ভূমিকা কোথায়? সকলেই হেফাজতে রয়েছে। আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।'
এদিকে অন্যতম অভিযুক্ত সুমন হাজরার বক্তব্য ছিল, '৬০ দিন আমরা আইনি বিচারের মধ্যে রয়েছি। আমরা হেফাজতেই ছিলাম। আপনি আমাদের কথা না শুনেই নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর প্রধান বিচারপতির কাছে গেছিলাম।' তবে আখেরে কোনও লাভ হয়নি তাঁদের। নির্দেশ অনুযায়ী আজই এই মামলার চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে এখন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কী নির্দেশ দেয় তা দেখার বিষয়।