শেষ আপডেট: 17th September 2024 17:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালের ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আজ ফের এই মামলার শুনানি হয় শিয়ালদহ কোর্টে। ধৃতদের কোর্টে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ মানুষ।
এদিন সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে ফের তিন দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে সিবিআই। কোর্টে সিবিআই-এর তরফে বলা হয়েছে আরজি কর কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত গণধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর ষড়যন্ত্র করেছেন সন্দীপ ঘোষ এবং টালার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল।
সিবিআই জানিয়েছে, 'মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডের ভিত্তিতে দু'জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। টালা থানা থেকে সিসি ক্যামেরার যে হার্ডডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলো তদন্ত করে দেখা দরকার।'
শিয়ালদহ কোর্টের বিচারক জানতে চেয়েছেন, তাহলে কি ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত টালা থানার ওসি? এর উত্তরে সিবিআই জানিয়েছে, 'দিল্লি থেকে কিছু রিপোর্ট আসা বাকি আছে। ধাপে ধাপে তদন্ত করা হচ্ছে।
সিবিআই আদালতে আরও জানিয়েছে, 'সঞ্জয়কে আগে থেকেই চিনতেন টালা থানার ওসি। তাই আরজি করে অবাধ যাতায়াত ছিল ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের।' শুধু তাই নয়, মত্ত অবস্থাতেই হাসপাতালে ঘুরে বেড়াতেন বলেও উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অভিজিৎ মণ্ডলকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে তারা বলেছে, ৯ অগস্ট রাতে সঞ্জয় কেন হাসপাতালে গিয়েছিলেন? কেউ কি তাঁকে ওই রাতে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন? কেন বেশ কয়েকবার ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল ওসির? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতেই টালার ওসিকে ফের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে সওয়াল করে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে শনিবার রাতে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। রবিবার সকালে সিজিও থেকে ওসি টালাকে মেডিকেল টেস্টে নিয়ে যাওয়ার সময় সিজিওর সামনেও তাঁকে ঘিরে প্রবল বিক্ষোভ দেখান জনতা। কেউ কেউ জুতোও দেখান।
অন্যদিকে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় মাথায় চড় মারেন বিক্ষোভকারীরা। প্রিজন ব্যানের গায়ে জুতোর বাড়িও মারেন কেউ কেউ।
আজ ফের সন্দীপ ঘোষ এবং টালার ওসিকে কোর্টে নিয়ে যাওয়ার সময় ক্ষোভ উগড়ে দেন সাধারণ মানুষ। নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে সরব হয়ে তাঁরা চিৎকার করতে থাকেন। কেউ কেউ বলেন, 'দুর্গা পুজো করব না আমরা, ওকে আমাদের হাতে ছেড়ে দিন।'