শেষ আপডেট: 13th November 2024 16:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দুটি বাসের রেষারেষিতে বলি হয়েছিল তৃতীয় শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া। মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে তেতে উঠেছিল সল্টলেক। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এবার হাসপাতালে ছেলের চিকিৎসা হয়নি বলে অভিযোগ করলেন মৃত স্কুল পড়ুয়ার মা।
তাঁর অভিযোগ, আহত ছেলেকে উদ্ধার করতে পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলে, কেউ এগিয়ে আসেনি। কোনও রকমে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও পরিষেবা পাননি। এতেই ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন মৃত স্কুল ছাত্রের মায়ের। তাঁর কথায়, প্রশাসন তৎপর হলে ছেলেকে বাঁচানো যেত।
মৃত পড়ুয়ার মা জানিয়েছেন, ছোট ছেলে আয়ুষ বাগুইআটির একটি বেসরকারি স্কুলের মর্নিং সেকশনে পড়ত। বড় ছেলে ওই স্কুলের ডে সেকশনে পড়ে। এদিন ওই মহিলা স্কুটিতে ছোটো ছেলে ও ভাইঝিকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। দুজনকে নিয়ে সাবধানে রাস্তার এক ধার থেকে স্কুটি নিয়ে যাচ্ছিলেন। উল্টোডাঙা হাডকো মোড়ের কাছে সল্টলেকের দু-নম্বর গেটের কাছে স্কুটি নিয়ে আসতেই একটি বাস বেপরোয়া গতিতে পিছন থেকে তাঁদের ধাক্কা মারে। স্কুটি থেকে তাঁরা তিনজনেই ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। ভাইঝির তেমন চোট না লাগলেও আয়ুষ ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে যায়।
মহিলার অভিযোগ, ছেলে অজ্ঞান হারানো কর্তৃব্যরত পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। শেষ পর্যন্ত এক অটোচালক তাঁদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। ওই অটোচালকের গাড়িতে অচৈতন্য় ছেলে নিয়ে সামনে একটি নার্সিংহোমে ছোটেন মৃত স্কুল পড়ুয়া মা। সেখানে প্রথমে আয়ুষের মাথায় ব্যান্ডেজ করে অক্সিজেন দেওয়া হয়। কিন্তু নার্সিংহোমে আইসিইউ ছিল না। ফলে ফুলবাগানের বিসি রায় হাসপাতালে ছেলেকে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে ছেলেকে ভর্তি নিতে চায়নি। শেষ পর্যন্ত বেলেঘাটার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার পরে ছেলে মৃত্যুর হয়।
মহিলার দাবি, হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে জানিয়েছিলেন এই ধরণের পরিকাঠামো সেখানে নেই। এমনকী পুলিশের কাছে সাহায্য চাইতে গেলে তাকে ভর্তি করানোর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং পুলিশ তাঁদের জানিয়ে দেয় এই ঘটনা তাঁদের এলাকাভুক্ত নয়।
নিহত স্কুল ছাত্রের মায়ের দাবি, ওই রাস্তায় প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে। তবু কোনও স্পিড ব্রেকার নেই রাস্তায়। ট্রাফিক পুলিশও থাকে না। একাধিক স্কুল থাকা সত্ত্বেও সেখানে ফুটপাতের নেই।