শেষ আপডেট: 5th September 2024 14:40
প্রতিবাদের এই চেহারা দেখে আমি লজ্জিত, কম্পিত, আহত। আমার প্রাণ চলে যেত গতকাল। একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, নিরপেক্ষ মানুষ, এক মহিলা হয়ে এক মেয়ের পাশে দাঁড়াতে এসেছিলাম। মোমবাতি জ্বালিয়েছিলাম। সেখানে মানুষের এত আক্রোশ!
কিছু সংখ্যক লোক মদ্যপ অবস্থায় কাল এরকম করল। তবে আমার ভিতরের মন, আমার প্রতিবাদ থাকবেই। অভয়ার সুবিচার হবেই।
জানি না কী বলব, বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। ভিতর থেকে আমরা কতটা ক্ষুব্ধ হয়ে আছি, কতটা রেগে আছি, কতটা কষ্টে আছি, এটাই বলতে পারি। যতক্ষণ না এর সুবিচার হচ্ছে, যতক্ষণ না মেয়েটি বিচার পাচ্ছে, ততদিন অস্থির হয়ে থাকব। সবেতেই মেয়েটার কথা মনে পড়ছে।
আজ এটা আর শুধু ডাক্তারদের বিষয় নয়, সারা দেশে বিক্ষোভ চলছে। সারা দেশের চিকিৎসকরা এক হয়েছেন এর বিরুদ্ধে। তবে এটা কেবল ডাক্তারদের নিরাপত্তার কথা নয়। এটা সমস্ত মেয়েদের নিরাপত্তার কথা। সেই নিরাপত্তা কে দেবে আমাদের, কোথা থেকে পাব সেই নিরাপত্তা?
আমরা কোথায় বাস করছি, যে নিজের কাজের, পেশার, পড়াশোনার জায়গায় এইভাবে অত্যাচারিত হয়ে মৃত্যুবরণ করা! আমরা কোন কালো অন্ধকারে বাস করছি, জানি না। এর পুনরাবৃত্তি হয়েই চলেছে। প্রায় রোজই নানা প্রান্ত থেকে এমন ঘটনা শোনা যাচ্ছে। আর কতদিন চলবে এই অন্যায়। প্রতিনিয়ত হয়ে চলেছে এইসব।
এই নৃশংসতা, এই অন্যায়, এত হিংসা, এত ক্ষোভ, এত বর্বরতা ক্ষমার অযোগ্য। এমন কোনও শাস্তি, এমন কোনও আইন তৈরি করা উচিত, যাতে এরকম কিছু করার আগে মানুষ ভাববে, এমন কিছু করব কিনা। এতটাই সাংঘাতিক হওয়া উচিত শাস্তির তীব্রতা।
এই আলোচনা অবশ্য বহু বছর ধরে চলছে। নির্ভয়া কাণ্ডের সময়েও সারা দেশ উত্তাল হয়েছিল। বারবার প্রতিবাদেও সুরাহা নেই। এই অত্যাচার চলতেই থাকছে। কঠিনতম শাস্তি চাই, বিচার চাই, জাস্টিস চাই।
আরজি করের মেয়েটির চিৎকার, আর্তনাদ কারও কানে পৌঁছল না। এইভাবে যেন আর না মরে যায় কোনও তিলোত্তমা। বিচার চাই।