Date : 18th Jun, 2025 | Call 1800 452 567 | info@thewall.in
আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী, তদন্ত ঘিরে ‘ষড়যন্ত্র’ আশঙ্কার সুর'উত্তমকে খুব চুমু খেতে ইচ্ছে করছে...' সাতসকালে ফোন করে সুপ্রিয়া দেবীকে বলেন সুচিত্রা৩০ মিনিটেও খুলল না দরজা! এবার ইন্ডিগো বিমানে বিভ্রাট, যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ভূপেশ বাঘেলওবর্ষারানির নাচের ছন্দে গা ভাসাতে ঝরনাতলায় ঘুরে আসবেন নাকি! রইল দেশের ১০ জলপ্রপাতের হদিশটেস্ট বোলারদের শীর্ষে যথারীতি বুমরাহ, অলরাউন্ডারদের এক নম্বর স্থান ধরে রাখলেন জাদেজাপরাধীন দেশ! তবু জাতি-ধর্মের বেড়া ভেঙে ইংল্যান্ডে ইতিহাস গড়েছিল ‘ভারতীয়’ ক্রিকেট দলবর্ষায় চুল পড়া তো বাড়বেই! চিরুনি দেখে কান্নাকাটি না করে, কাজে লাগান এইসব সহজ ঘরোয়া টোটকাইরানের হামলায় ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ‘অ্যারো’র ভাঁড়ার বাড়ন্ত, আমেরিকাও জানে'তুলসী কয় রকমের হয় জানেন?', ধর্মের নামে রাজনীতি, নাম না করে বিজেপিকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীরইলিশ আসতেই দিঘা মোহনায় যেন উৎসব, বিক্রি হল ৬০০ থেকে ১৫০০ টাকায়
Rinku Majumder

মাদার্স ডে-তে আমার জন্য উপহার আনল ছেলে, সেদিন ওকে থাকতে বললাম আমার কাছে, কিন্তু...: রিঙ্কু

২৭ বছরের তরতাজা ছেলেটা আর নেই! চোখের জলের বাঁধ মানছে না মায়ের। আরজি করের মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে গিয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন।

মাদার্স ডে-তে আমার জন্য উপহার আনল ছেলে, সেদিন ওকে থাকতে বললাম আমার কাছে, কিন্তু...: রিঙ্কু

ছেলের সঙ্গে রিঙ্কু মজুমদার।

শেষ আপডেট: 13 May 2025 21:30

দ্য ওয়াল ব্যুরো: "মা সারাজীবন সংসার সামলেছে, আমাকে বড় করেছে, এখন তো তাঁরও একজন সঙ্গী প্রয়োজন। আমি ভীষণ খুশি।"- ১৮ এপ্রিল দিলীপ ঘোষের সঙ্গে রিঙ্কু মজুমদারের চার হাত এক হওয়ার পর নিজের প্রথম প্রতিক্রিয়ায় এটাই বলেছিলেন সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতম দাশগুপ্ত। রিঙ্কু মজুমদারের একমাত্র সন্তান।

২৭ বছরের তরতাজা ছেলেটা আর নেই! চোখের জলের বাঁধ মানছে না মায়ের। আরজি করের মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে গিয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন। বলছিলেন, "রবিবার ছেলেটা এসেছিল। গিফট দিয়ে চলে গেল। থাকতে বললাম, বলল, আজ নয়, অন্য একদিন আসব!"

রবিবার মানে মাদার্স ডে! আর সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতমের সবটা জুড়়ে যে ছিল, তাঁর মা, একথা রিঙ্কুদেবীর চেয়ে কে বা বেশি জানবে!

বলছিলেন, "বুঝতে পারছিলাম, ছেলেটার আমাকে ছাড়া থাকতে কষ্ট হচ্ছে। মুখে কিছু বলেনি, তবে আমি বুঝতে পারছিলাম, ওর কষ্ট হচ্ছে। শীঘ্রই কাছে নিয়ে আসার প্ল্যানিংও ছিল। তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল।"

রবিবারের সেই দেখাটাই যে ছেলের সঙ্গে শেষ দেখা হয়ে রয়ে যাবে, ঘুনাক্ষরেও টের পাননি রিঙ্কুদেবী। মঙ্গলবার সকালে খবরটা যখন পেলেন তখন সব শেষ!

সাঁপুরজি আবাসন থেকে ফোনটা করেছিলেন বাড়ির কাজের মেয়ে। ফোনের ওপার থেকে ভেসে এসেছিল আর্তনাদ, "দিদি, তাড়াতাড়ি এসো, বাবু বোধহয় আর নেই!" নিজেই গাড়ি চালিয়ে ছেলেকে নিয়ে পৌঁছেছিলেন বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে। পরীক্ষার পর চিকিৎসরা জানিয়ে দেন, ছেলে আর বেঁচে নেই। সেই থেকে সন্তানহারা মায়ের একটাই আক্ষেপ, রবিবার যদি ছেলেটাকে কাছে রেখে দিতাম, তা হলে হয়তো এই দিনটা দেখতে হত না।


ভিডিও স্টোরি