শেষ আপডেট: 5th February 2025 15:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি আরজি করের নিহত চিকিৎসকের জন্মদিন। ওইদিনই সেই নারকীয় ঘটনার ৬ মাস পূর্ণ হবে। আর তাই মেয়ের জন্মদিনে ফের আন্দোলনের ডাক দিলেন তাঁর বাবা-মা। সাধারণ মানুষকে আবার একবার পথে নামার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
এই প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও বার্তা দিয়েছেন নির্যাতিতার মা-বাবা। তাঁরা চান, মেয়ের জন্মদিনে সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতাল, নার্সিংহোমের চিকিৎসক, কর্মীরা পথে নামুক। এছাড়া যারা আরজি কাণ্ডের বিচার চেয়ে লড়াই করেছেন তারাও যেন ফের পথে নামেন। তাঁদের 'বৃহত্তর পরিবার'-এর কাছে আর্জি, ওইদিন যেন সবাই আলো জ্বালান। নিহত চিকিৎসকের মা বলছেন, 'মেয়ের ফুলগাছ খুব ভাল লাগত। আমরা চাই ওঁর জন্মদিনের দিন বাড়িতে হোক বা কর্মস্থলে সবাই অন্তত একটি করে ফুলগাছ লাগাক।'
আরজি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। তাকে শিয়ালদহ আদালত যাবজ্জীবনের সাজাও দিয়েছে। কিন্তু নির্যাতিতার বাবা-মা মনে করেন, বিচার সম্পূর্ণ হয়নি। সঞ্জয় ছাড়াও আরও অনেকে জড়িত এই ঘটনায় যাদের আড়াল করা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশের পর সিবিআই তদন্ত নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে মামলাও চলছে। ভিডিও বার্তায় নির্যাতিতার পরিবার স্পষ্ট করে দিয়েছে, শেষ রক্তবিন্দ পর্যন্ত তাঁরা লড়াই করবেন, মেয়ের জন্য বিচার ছিনিয়ে আনবেন।
নিহত চিকিৎসকের মার কথায়, 'আমরা হতাশ হব না, ভেঙে পড়ব না। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব। আমাদের এখন বেঁচে থাকার একটাই উদ্দেশ্য মেয়ের জন্য বিচার ছিনিয়ে আনা।' এই কারণেই বিচারের আশায় এবং মেয়ের সঙ্গে হওয়া ঘটনার প্রতিবাদে ফের একবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। আশা করছেন, প্রতিবাদীরা তাঁদের ডাকে সাড়া দেবেন এবং আবারও পথে নামবেন।
আদালতের সাজা ঘোষণার পরও অসন্তুষ্ট থাকায় নির্যাতিতার পরিবারকে অনেক কটাক্ষও শুনতে হয়েছে। তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী তাঁদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। সেই নিয়ে ব্যাপক সমালোচনাও হয়েছে। সম্প্রতি কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, তাঁরা আদতে দোষী সঞ্জয় রায়ের মুক্তি চাইছেন কিনা! কুণালের কথায়, বিরোধীরা যে কাল্পনিক কথাগুলো বলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে, সেই কথাগুলিই বলছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এই পরিস্থিতির মধ্যে আবার আন্দোলনের ডাক কতটা প্রভাব ফেলে সেটা দেখার বিষয়।