শেষ আপডেট: 4th September 2024 22:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডের নির্যাতিতার বাবা-মা বুধবার প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। তাঁরা দুজনেই আরজি কর হাসপাতালে যান। তবে ঘটনার দিনের কথা বলতে গিয়ে পুলিশকে নিয়ে বড় মন্তব্য করেছেন নির্যাতিতার বাবা। তাঁর দাবি, মেয়ের দেহ তখনও দাহ হয়নি, পুলিশ তাঁকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল! যদিও তা ক্ষতিপূরণের টাকা কিনা সেটা স্পষ্ট করেননি তিনি।
নির্যাতিতার বাবার কথায়, ''মেয়ের মুখ দেখতে আমাদের সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। আমরা দেহ রেখে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ৩০০-৪০০ পুলিশ ঘিরে রেখেছিল। ফলে দেহ দাহ করতে বাধ্য হই। শ্মশানে দাহর টাকাও নেওয়া হয়নি। সেই টাকা কে দিল? মেয়ে জানল, বাপি এই টাকাটাও দিতে পারল না!'' তিনি এও জানান, হাসপাতালে সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, সাংবাদিক বৈঠক করে ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় মিথ্যাচার করছে বলেও অভিযোগ করেন নির্যাতিতার বাবা।
পুলিশ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপরই যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগ, টালা থানায় তাঁদের পুলিশ ঘিরে রেখেছিল, বাড়ি ফিরে আসার পরও তাঁরা দেখেন ৩০০-৪০০ পুলিশ ঘিরে রেখেছেন। মেয়ের দেহ ঘরের থাকাকালীন তাঁকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা হয় পুলিশের তরফে, এমনটাই দাবি করেছেন নির্যাতিতার বাবা। তাঁর প্রশ্ন, ''দেহ সৎকারের কী তাড়া ছিল পুলিশের? কী লুকোনোর চেষ্টা করছে তাঁরা?'' এই প্রশ্নগুলির উত্তর চান নির্যাতিতার বাবা-মা।
এর আগে তাঁদের অভিযোগ ছিল, ঘটনার দিন হাসপাতাল থেকে তিনটি ফোন এসেছিল। তাঁদের প্রথমে বলা হয় মেয়ে অসুস্থ, তারপর বলা হয় আত্মহত্যা করেছে। কেন শুরু থেকে মিথ্যে কথা বলা হয়েছে, কীসের জন্য পুলিশ তাঁদের অপেক্ষা করিয়ে রেখেছিল, তার উত্তর খুঁজছেন তাঁরা। অভিযোগ, পুলিশ মৃতদেহ তাড়াতাড়ি সৎকার করার জন্য দেহ 'হাইজ্যাক' করে।
নির্যাতিতার বাবার আরও বড় দাবি, মেয়ের দেহ যখন দাহ করা হয়নি তখন ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তা তাঁকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন! কিন্তু তিনি সেই টাকা নেননি। যদিও এই টাকা রাজ্য সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণের টাকা কিনা তা স্পষ্ট করে বলেননি নির্যাতিতার বাবা-মা। প্রসঙ্গত, তৃণমূল সরকারের আমলে যে কটি এমন ঘটনা ঘটেছে সেখানে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা হয়েছে। এটাই যেন একটা প্রথা হয়ে গেছে। এক্ষেত্রেও তেমন ব্যাপার কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।