শেষ আপডেট: 20th January 2025 18:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবার আরজি কর মামলায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। বিচারক অনির্বাণ দাস জানিয়েছেন, সঞ্জয় রায়ের অপরাধ ‘বিরলতম’ নয়। তাই ফাঁসি নয়, তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই রায়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি নয় নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীরা। ফের সিবিআই তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন তুললেন তাঁরা।
সিবিআই প্রথম থেকেই সিভিক ভলেন্টিয়ারের ফাঁসির আবেদন করেছিল। চার্জশিটেও তাঁকে একা দোষী হিসেবে দাবি করেছিল। কিন্তু বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয় রায়কে ফাঁসির সাজা দেননি। এই নিয়ে সিবিআই তদন্তেরই খুঁত বের করেছেন নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীরা। তাঁরা স্পষ্টত বলছেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তেই ফাঁক ছিল।
সোমবার সাজা ঘোষণার পর সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীরা বলেন, শিয়ালদহ আদালত যে রায় দিয়েছে তাতে তাঁরা আংশিক খুশি হলেও সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট হতে পারেননি। প্রথম থেকেই তাঁদের দাবি ছিল সিবিআই তদন্তে ফাঁক রয়েছে, আর সেই কারণেই শেষমেশ আদালত ফাঁসি না দিয়ে যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষণা করেছে। যদিও রায়ের চূড়ান্ত নথি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা আর এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না বলে জানিয়েছেন।
সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ড ঠেকাতে আদালতে তাঁর আইনজীবীর ব্যাখ্যা ছিল, বিভিন্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড সমালোচিত হয়েছে। তাই বিকল্প শাস্তি দেওয়া হোক অর্থাৎ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তাঁর ব্যাখ্যা ছিল, "শীর্ষ আদালত বলছে কোন কোন ক্ষেত্রে বিরলতম নয়। সেটা দেখতে হবে। যেখানে রিফর্ম করার আর জায়গা নেই সেখানে। আদালতকে দেখাতে হবে কেন রিফর্ম হবার সুযোগ নেই।" কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বলেছিল, যেভাবে কর্মরত এক মহিলা চিকিৎসককে তাঁর কর্মস্থলে ধর্ষণ খুন করা হয়েছে, তাতে এটি বিরলতম অপরাধ। তাই অপরাধীর বিরল শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু ফাঁসির নির্দেশ দেয়নি আদালত।
সোমবার আরজি কর কাণ্ডে শিয়ালদহ কোর্টের নির্দেশ শোনার পর নির্যাতিতার বাবা-মা স্পষ্ট বলেন, ''সিবিআই প্রমাণ করতে পারেনি এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। তাই এই রায় দিয়েছে আদালত।'' একই সঙ্গে তাঁরা এও বলেন, কোনও ক্ষতিপূরণের টাকা তাঁদের চাই না। শুধু বিচার চান। আর সেটা তাঁরা পাননি।