শেষ আপডেট: 22nd August 2024 19:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি দিল আদালত। সন্দীপের পাশাপাশি সেদিন রাতে নির্যাতিতা ডাক্তারি ছাত্রীর সঙ্গে যে চার চিকিৎসক ছিলেন তাঁদেরও পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি দিল শিয়ালদহ আদালত। আগামী শুক্রবার সকালে তাঁদের পলিগ্রাফ টেস্ট করানো হবে।
এদিন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ পাঁচজনকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআইয়ের অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চ থেকে শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে আসে সিবিআই। রুদ্ধদ্বার আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে মুখোমুখি বসিয়ে সিবিআই এর তরফে তাঁদের পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য আবেদন করা হয়। সন্ধেয় সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
এই ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি আগেই পেয়েছে সিবিআই। তবে সেই টেস্ট এখনও করাতে পারেনি তাঁরা। এবার সন্দীপ ঘোষ এবং আরজি করের চার চিকিৎসক পড়ুয়ারও পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এই পলিগ্রাফ টেস্ট কী? কেন করানো হয়?
পলিগ্রাফ টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যায়, যে কেউ মিথ্যা বলছে কিনা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কারও পলিগ্রাফ টেস্ট বা পরীক্ষার মাধ্যমে তার শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি, নাড়ির স্পন্দন তথা গতি, রক্ত চাপ, শরীর থেকে কতটা ঘাম বেরোচ্ছে ইত্যাদি দেখা হয়। কেউ মিথ্যা কথা বললে তার হৃৎস্পন্দন এবং রক্তচাপের পরিবর্তন ঘটে। তার মাধ্যমেই একটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
আরজি করে ছাত্রী খুনের ঘটনায় অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে প্রকৃত ঘটনা আড়ালের অভিযোগ আগেই এনেছিলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা এবং নির্যাতিতার পরিবার। সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে এ ব্যাপারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে।
প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে গত বৃহস্পতিবার হাজিরা দেননি অধ্যক্ষ। পরিবর্তে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে শুক্রবার তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপরই রাস্তা থেকে অধ্যক্ষকে তুলে শুক্রবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। সেই থেকে তাঁকে প্রতিদিনই গড়ে ১০-১১ ঘণ্টা করে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। ছাত্রীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় অধ্যক্ষ হিসেবে সন্দীপ ঘোষ কেন বৃহস্পতিবার তদন্তকারীদের হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তদন্তে তাও খতিয়ে দেখছেন দুঁদে গোয়েন্দারা।
ইতিমধ্যে নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, সেদিন হাসপাতালের সহকারী সুপার টেলিফোন করে মেয়ে 'সুইসাইড' করেছে বলে জানিয়েছিলেন। সিবিআই সূত্রের খবর, ওই সহকারী সুপার জেরার মুখে জানিয়েছেন, অধ্যক্ষর নির্দেশেই তিনি একথা বলতে বাধ্য হয়েছিলেন মেয়েটির পরিবারকে। সূত্রের খবর, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে এমনই একাধিক বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। সেই সূত্রেই ধারাবাহিকভাবে জেরা চলছিল। জেরায় তিনি সত্যি কথা বলেছেন কিনা, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে এবার ধৃত সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে সন্দীপ ঘোষ এবং সেই রাতে নির্যাতিতা ডাক্তারি ছাত্রীর সঙ্গে যে চার চিকিৎসক ছিলেন তাঁদেরও পলিগ্রাফ টেস্ট করবে সিবিআই।