শেষ আপডেট: 9th January 2025 19:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণকাণ্ডের পাঁচমাস পার। গত বছর ৯ অগস্টের নারকীয় ঘটনার বিচার এখনও আসেনি। আর কবে? সেই প্রশ্ন রেখেই বৃহস্পতিবার বিকেলে কলেজ স্কোয়ার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করলেন চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, পরিকল্পনা রয়েছে একদিনের জন্য রাতভর অবস্থান করবেন তাঁরা। এই অভিযানে জুনিয়র চিকিৎসকদের স্লোগান, 'নতুন বছর দিচ্ছে ডাক, অভয়া বিচার পাক'।
এদিন মিছিলে যখন বিচারের দাবিতে স্লোগান উঠছে, ঠিক তখনই চূড়ান্ত রায়দানের দিন ঘোষণা করে দিয়েছে আদালত। আরজি কর কাণ্ডের বিচারপর্ব শেষ হয়েছিল আগেই। বিচারক জানিয়ে দিলেন, আগামী ১৮ জানুয়ারি দুপুর ২টোয় এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবেন।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে তদন্তভার হাতে নিয়ে আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারকেই একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই-ও। যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে তা যে একজনের পক্ষে করা সম্ভব যে দাবি ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিশেষ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে প্রাথমিক তদন্তে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে সঞ্জয় রায়কে সেমিনার হলের বাইরে দেখা গেছিল। তার হেডফোনও পাওয়া গিয়েছিল ঘটনাস্থল থেকে। সেই সূত্র ধরেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করতে উদ্যত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অন্যদিকে অভিযুক্তর আইনজীবীর দাবি, 'সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। সে ষড়যন্ত্রের শিকার।'
এর আগে সঞ্জয়ও সংবাদমাধ্যমের সামনেও মুখ খুলে প্রায় একই দাবি করেছিল। সরাসরি নিশানা করেছিল পুলিশকেও। তারপর আদালতে আনার সময়ে তার পুলিশি নিরাপত্তাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
সিবিআই তদন্ত অবশ্য একেবারেই খুশি নন নির্যাতিতার পরিবার। তাঁদের দাবি, ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে, তবে তাদের আড়াল করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সিবিআই সময়ে চার্জশিট দাখিল না করতে পারায় ইতিমধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন আরজি কর কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাটে অভিযুক্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এরপরই পুনরায় মেয়ের খুনের বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতার মা-বাবা। আদালত পুনরায় মামলা দায়েরের অনুমতিও দিয়েছে।