শেষ আপডেট: 15th August 2024 11:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে ব্যাপক হামলা হয়েছে। ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে জরুরি বিভাগ। তার পাশাপাশি লক্ষাধিক টাকার ওষুধ তো নষ্ট হয়েছেই, জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই হামলা ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আরজি করের নার্সরা। তাঁদের আশঙ্কা, ফের হামলা হতে পারে।
আরজি করে যে সময় হামলা হয়েছে তখন অনেক নার্স কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন। তাই এমন হামলার ঘটনায় তাঁরা শঙ্কিত। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিং-এর সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নার্সরা। তাঁদের দাবি, গতকাল যারা ডিউটিতে ছিলেন তারা বলছেন তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে আজকে রাতেও আবার হামলা চালানো হবে! বিষয়টি তাঁরা প্রিন্সিপালকে জানিয়েছেন।
এদিকে জরুরি বিভাগে যে সমস্ত যন্ত্রগুলি চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় সেগুলি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ওই বিভাগ কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যার ফলে এমারজেন্সি ডিপার্টমেন্টের যে সব রোগীরা রয়েছেন তাদের চিকিৎসার ভোগান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে আরজি করের কর্মরত কিছু মহিলা স্টাফরা যন্ত্রগুলির একটি তালিকা তৈরি করে প্রতিটা ঘর ঘুরে দেখছেন। ঠিক কোন কোন যন্ত্র ভাঙা হয়েছে এবং কোন কোন যন্ত্র এখনও সুরক্ষিত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
অভিযোগ উঠেছে, বুধবার রাতের ঘটনা সুপরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে যাতে, সব প্রমাণ নষ্ট হয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজের রুম ছাড়াও সেমিনার হলেও হামলা করা হয়েছে। যদিও বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানান হয়েছে, সেমিনার রুমে কোনও হামলা হয়নি, তা অক্ষত রয়েছে। একই সঙ্গে বার্তা, কেউ কোনও গুজব ছড়াবেন না, কেউ গুজবে সহজে কানও দেবেন না। পাশাপাশি পুলিশের তরফে ফেসবুক পোস্টে বেশ কয়েকটি ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, ''যাদের চেহারা চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের সন্ধান জানা থাকলে অনুরোধ, জানান আমাদের, সরাসরি বা আপনার সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে।''
শুধু হাসপাতালের ভিতরে নয়, বাইরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। একাধিক পুলিশের গাড়িতে, হাসপাতালের বাইরের পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করা হয়। একাধিকজন পুলিশ কর্মীও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে খবর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। নামানো হয় ব়্যাফও। দাবি করা হয়েছে, অন্তত ৩০০ জন আরজি করে হামলা চালিয়েছিল।