শেষ আপডেট: 15th August 2024 23:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লোকসভা ভোটের সময় পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে ঢুকতে ছদ্মবেশ ধরেছিলেন সিপিএমের যুবনেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। মুখ সাদা ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে খেয়া পারাপার করে সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে সন্দেশখালিতে নির্যাতিতাদের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা।
বুধবার মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার শহরে মিছিল করতে গিয়ে সেই ছদ্মবেশের আশ্রয় নিতে দেখা গেল মিনাক্ষী-সহ সিপিএমের ছাত্র, যুব এবং মহিলা সংগঠনের নেতৃত্বকে।
হামলার প্রতিবাদে এদিন বিকালে শিয়ালদহ থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিল সিপিএমের ছাত্র, যুব এবং মহিলা সংগঠন। কিন্তু আগে থেকেই শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরের এলাকা পুলিশ ঘিরে রেখেছিল। স্টেশন থেকে বেরোতেই পুলিশ সিপিএমের ছাত্র, যুব এবং মহিলা সংগঠনের ২৪ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে। এরপরই মিছিলের স্থান বদলে ফেলার কৌশল নেন মিনাক্ষী।
দলীয় সূত্রের খবর, তাঁরা তখনও ঘটনাস্থলে পৌঁছননি। পুলিশ ধরপাকড় শুরু করেছে জানতে পেরে মিনাক্ষী ও সিপিএমের যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা সংগনের রাজ্য দফতর দীনেশ মজুমদার ভবনে ফিরে যান। সাধারণত চুড়িদার পরতে দেখা যায় মিনাক্ষীকে। রাজ্য দফতরে গিয়ে পোশাক বদলে শাড়ি পরে নেন বাম যুবনেত্রী। আর ধ্রুব প্যান্ট ছেড়ে শার্টের সঙ্গে লুঙ্গি!
ওই বেশেই তাঁরা হাজির হন রাজাবাজারে। খবর পেয়ে বাকিরাও সেখানে পৌঁছে যায়। সেখান থেকেই বাম ছাত্র-যুব-মহিলারা শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করেন। পরে বুধবারের মধ্যরাতের ঘটনার জন্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা দায়ী বলে অভিযোগ করেন মিনাক্ষী। নিজের দাবির সপক্ষে একাধিক ছবিও দেখান। প্রশ্ন তোলেন মধ্যরাতে পুলিশের 'নিষ্ক্রিয়' ভূমিকা নিয়েও।
প্রসঙ্গত, আরজি করের হামলার জন্য এদিন বাম-রামকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অভিযোগ উড়িয়ে মিনাক্ষীর পাল্টা অভিযোগ, "হামলার দায় এড়াতে মখ্যমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন।"