শেষ আপডেট: 9th August 2024 21:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার সন্ধে আটটা নাগাদ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই শেষ হল আরজিকরের পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের মৃত ছাত্রীর ময়নাতদন্তের কাজ। অভিযোগ, ওই ছা্ত্রীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও প্রকাশ্যে না এলেও পুলিশের একটি সূত্র থেকে তেমনই ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ছাত্রীর কলার বোন ভাঙা রয়েছে। যা থেকে পুলিশের একাংশের অনুমান, হতে পারে গলা টিপে মারা হয়েছে জুনিয়র মহিলা চিকিৎসককে। গলা এত জোরে টেপা হয়েছে যে কলার বোন ভেঙেছে। মৃত্যু আরও সুনিশ্চিত করার জন্য এরপরই শ্বাসরোধ করে ওই জুনিয়র মহিলা চিকিৎসককে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
ইতিমধ্যে মৃত ডাক্তারি ছাত্রীর পরিবার এবং তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে এগারো সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়েছে আরজিকর মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ।
জরুরি বিভাগের চারতলায় যে সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল ছাত্রীর দেহ সেখানে সিসিটিভি ফুটেজ না থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে মৃত্যু, সেখানে আর কে কে ছিল, এই সম্পর্কে নিশ্চিত হতে এদিন রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ কুকুরও নিয়ে আসা হয়। ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নাতকোত্তর স্তরে দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবারও রাত ২টো পর্যন্ত হাসপাতালের ওয়ার্ডে ডিউটি করেন। পরে কর্মরত আরও দুই জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া সেরে পড়াশোনার জন্য সেমিনার হলে চলে যান ওই তরুণী। শুক্রবার সকালে সেমিনার হল থেকেই দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। হাসপাতালের একটি সূত্রের দাবি, তরুণীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁর পোশাকও ছিল ছেঁড়া।
ডাক্তারি পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ দাবি করেন, হাসপাতালের ভিতরেই ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে। খাস কলকাতা শহরের বুকে মেডিক্যাল কলেজ, অথচ ন্যুনতম নিরাপত্তা নেই সেখানে। ওই তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন তাঁরা।
খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে আসেন মৃত জুনিয়র চিকিৎসকের বাবা। মেধাবী কন্যার এমন মর্মান্তিক পরিণতির খবর পেয়ে নিজেকে সামলাতে পারছেন না আর। বললেন, “বোঝা যাচ্ছে রেপ করে মার্ডার করা হয়েছে ওকে।" স্বাস্থ্যকর্তারা বলেন, "অভিযোগ যা করা হয়েছে তা নিশ্চিতভাবে গুরুতর। আইন আইনের পথে চলবে। সত্য বেরিয়ে আসুক আমরাও চাই।"