শেষ আপডেট: 7th September 2024 14:18
দ্য় ওয়াল ব্যুরো: চিকিৎসার গাফিলতিতে কোন্নগরের যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ খণ্ডন করলেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা দাবি করলেন খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গেই ট্রমা কেয়ারে থাকা সিনিয়র চিকিৎসকরা সমস্ত ব্যবস্থা নেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবেই ওই যুবককে বাঁচানো যায়নি।
এদিন তাঁরা বলেন, "এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে ২৮ বছরের এক যুবককে আমরা বাঁচাতে পারিনি। কিন্তু একইসঙ্গে এটাও ঠিক, যে তাঁর চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি। তাঁকে আনামাত্র নিয়ম মেনে তাঁকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। ড্রিপ চালু করা হয়। তাঁর এক্সরে করা হয়। তাঁকে রক্ত দেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। তাই রক্তের জন্য রিকুইজিশন দেওয়া হয়। এরপরেই তাঁকে সিটি স্ক্যানের জন্য পাঠানো হয়। সেখানেই হঠাৎ প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। তারপরেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।"
তাঁদের দাবি, দু-পায়ে চোটের পাশাপাশি মাথাতেও আঘাত পেয়েছিলেন ওই যুবক। দুটো পায়ের বেশ কয়েকটি হাড় ভাঙা ছিল। এই ক্ষেত্রে যে ভাবে চিকিৎসা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার সেভাবেই এগিয়েছেন হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে।
আরজি করের এমএসভিপি সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়ও দাবি করেন, চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ একেবারেই ঠিক নয়। দুর্ঘটনায় জখম ওই ব্যক্তিকে খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গেই সেই সময় কর্মরত সিনিয়র ডাক্তাররা তাঁর উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু বাঁচানো যায়নি ওই যুবককে।
শুক্রবার ভোরে কোন্নগর বেঙ্গল ফাইন মোড়ের কাছে রাজীব গান্ধী রোডে একটি ডাম্পার চাপা দিয়ে চলে যায় বিক্রম ভট্টাচার্য নামে বছর আঠাশের ওই যুবককে। বিবেকনগর দ্বারিক জঙ্গল বাইলেনে একটি বাড়িতে মা ও দিদিমাকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন ওই যুবক। গাড়ি চালাতেন। এদিন ভোরে দুর্ঘটনায় তার পা দুটি গুরুতর জখম হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় তাঁকে। বিক্রমের পরিবারের অভিযোগ, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলায় প্রায় তিনঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় পড়ে থেকে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
শনিবার সকালে কোন্নগর পুরসভার পুরপ্রধান স্বপন দাস মৃত যুবকের বাড়িতে পৌঁছে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, "অনুনয় বিনয়, আকুতির পরও কেউ এগিয়ে আসেনি। এতটুকু সহানুূভূতি দেখায়নি। আন্দোলন অবশ্যই করুক, কিন্তু এভাবে একজনের বিচারের জন্য হাজার মায়ের কোলের খালি করাটা মেনে নেওয়া যায় না।"